Scrollwhite

মাহমুদুল হক ফয়েজ My name is Mahmudul Huq Foez, I am a journalist, leaving in a small town, named Noakhali , which is situated in coastalzila of Bangladesh

হোমপেইজ | আর্টিকেল | ছোটগল্প | ফিচার | মুক্তিযুদ্ধ | বনৌষধি | সুস্বাস্থ্য | কবিতা | যোগাযোগ

সুস্থ স্বাস্থ্য




সুস্থ হোন, সুস্থ থাকুন
মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ

সুস্থ স্বাস্থ্য সুস্থ হোন, সুস্থ থাকুন ভবিষ্যতের চিকিৎসক রুগীকে ওষুধ না দিয়ে তাকে শেখাবেন শরীরের যত্ন নেয়া, সঠিক খাদ্য নির্বাচন, রোগের কারণ নির্ণয় ও তা প্রতিরোধের উপায়। -টমাস আলভা এডিসন, মার্কিন আবিষ্কারক এডিসন যে-ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তা আজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলেও শরীরের যত্ন, খাদ্যাখাদ্য বিচার ও রোগ ঠেকানোর ব্যাপারে আমরা এখনও যথেষ্ট সচেতন নই। তাই বিভিন্ন মানবদরদী চিকিৎসক ও গবেষকের পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে কিছু লেখার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।





১. উপযুক্ত ব্যায়াম ও খাদ্যাভ্যাস এবং প্রফুল্ল মনই হচ্ছে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি। আসলে আমাদের জীবনে এত দুশ্চিন্তা বা টেনশন থাকে যে, আমরা হাসিখুশী থাকতে পারি না। অথচ কথায় আছে, ক্যান্সারে যত না কবর ভরেছে তার চেয়ে বেশী ভরেছে টেনশনে। সুতরাং ভালভাবে বাঁচতে চাইলে মনকে প্রফুল্ল রাখতে হবে। এ জন্য ভাল চিন্তা ও ভাল কাজের কোনো বিকল্প নেই। সেই সাথে নিজেকে জড়াতে হবে কোনো না কোনো সৃজনশীল কাজের সাথে।

২. চার বছর বয়স থেকেই ব্যায়াম শুরু করা উচিত। ব্যায়াম অনেক রকম। যেমন হাঁটা, সাঁতার কাটা ও দৌড়-ঝাঁপ ইত্যাদি ব্যায়াম, সাইকেল কিংবা অন্যান্য যন্ত্রপাতি চালিয়ে ও ভারি কিছু ওপরে তোলার মাধ্যমে ব্যায়াম, দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মালিশের দ্বারা ব্যায়াম এবং দেহকে বিশেষ ভঙ্গিমায় স্থির রেখে যোগ ব্যায়াম। সব ব্যায়ামেই উপকার হয়। তবে বয়স, শারীরিক অবস্থানুযায়ী প্রয়োজন, পরিবেশগত সুবিধা, সময়ের সীমাবদ্ধতা ও মানসিক প্রবণতার কথা ভেবে ব্যায়াম বেছে নেয়া ভাল। কিন্তু কিছু ব্যায়াম আছে যা একেবারে শয্যাশায়ী বা চলাফেরায় অক্ষম না হলে সকলের পক্ষেই করা সম্ভব। এ লেখায় সেগুলোর ওপরেই জোর দেয়া হয়েছে।

৩. প্রতিদিন ৪৫ মিনিট জোরে হাঁটুন। একবারে না পারলে কয়েকবারে। এতে দেহের সমস্ত— অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নমনীয় থাকে ও মগজে প্রচুর অক্সিজেন ঢোকায় দুশ্চিন্তা কমে। হাঁটায় মহিলাদের ঋতু বন্ধজনিত হাড়ক্ষয় এবং অন্যান্য জটিলতাও রোধ হয়।

৪. অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নড়াচড়া এবং মালিশ করা ভাল ব্যায়াম। কারণ এতে রক্ত সঞ্চালন সহজ হওয়ায় চর্বি জমতে পারে না। এখানে দেহের গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থানে মালিশের উল্লেখ করা হল যার দ্বারা কাছের তো বটেই, দূরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও উপকৃত হয়।

ক) যখনই সম্ভব পুরো মাথা মালিশ করলে মাথায় ভালোভাবে রক্ত চলাচল করে বলে মগজ তথা স্নায়ুকেন্দ্র ভাল থাকে ও সহজে চুল পড়ে না কিংবা পাকে না।

খ) প্রত্যহ ১০ মিনিট হাত ঘুরিয়ে ভেজা কপাল মালিশ করলে শারীরিক বৃদ্ধির জন্য দায়ী পিটুইটারি গ্রন্থি সতেজ থাকে।

গ) কানের সামনে-পেছনে মালিশ করলে এবং কানের লতিসহ কান মোচড়ালে পাকস্থলী ভাল থাকে।

ঘ) নাকের ডগা হাতের তালু দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ডললে কিডনি সবল থাকে।

ঙ) শরীর ও মনের যে কোনো চাপের প্রথম শিকার হচ্ছে ঘাড়। কাজেই ঘাড় মালিশ করলে এবং মাথা ওপর-নিচ ও চারপাশে হেলিয়ে ঘোরালে ঘাড় নমনীয় থাকে।

চ) চোয়ালের নিচে গলার দু’পাশে মালিশ করলে থাইরয়েড ও টনসিল গ্রন্থি ভাল থাকে।

ছ) কনুইয়ের জোড়ায় হালকা চাপ দিয়ে এবং কনুই ও কব্জির মাঝখানে স্বাভাবিকভাবে মালিশ করলে হাত খুব সচল থাকে।

জ) নাভির চারপাশে মালিশ করলে দুশ্চিন্তা কমে এবং চিৎ হয়ে শুয়ে এটি করলে সহজে আন্ত্রিক গোলযোগ হয় না।

৫. শুয়ে পেটের ওপরে দু’হাত রেখে গভীরভাবে নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে পেট ফুলিয়ে মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়লে ফুসফুসের শক্তি বাড়ে এবং দিনে ২০ মিনিট এটি করলে ভাল ঘুম হয়। দেহের সার্বিক শক্তি বৃদ্ধি ও তারুণ্য ধরে রাখার জন্য একটানা যতক্ষণ পারা যায় মলদ্বার সংকোচন করা ও ছেড়ে দেয়া খুবই ভাল একটি ব্যায়াম।

৬. স্নায়ুতন্ত্রের এক বড় অংশ শেষ হয়েছে হাতের তালুতে ও পায়ের তলায়। এ জন্য হাততালি দিলে চোখের ছানি দূর হয়, উচ্চ রক্তচাপ কমে এবং স্মরণশক্তি বাড়ে। পায়ের তলা কর্কশ কোনো কিছু, যেমন ধুন্দুলের ছোবড়া কিংবা প্লাস্টিকের ব্রাশ দিয়ে দিনে মোট ২০ মিনিট ঘষলে দেহের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই উদ্দীপ্ত হয়, সতেজ থাকে এবং রোগাক্রান্ত হলেও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়। বিশেষতঃ অনিদ্রা, হৃদরোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধে এবং মহিলাদের গর্ভাবস্থায় খুব উপকার পাওয়া যায়। পায়ের তলা ঘষার পর আঙ্গুলগুলো ওপর-নিচ করে টানুন।

৭. মুখ ধোয়ার সময়ে চোখে ২৫ বার পানির ঝাপটা দিন। নাক দিয়ে পানি যতটা পারা যায় টানুন ও ছাড়–ন। এতে সহজে সর্দি-কাশি হবে না। উপরন্তু এটি মাথাব্যথা, সাইনাসাইটিস ও মাইগ্রেইনে খুব উপকারী।

৮. আমাদের উপমহাদেশে উদ্ভাবিত যোগ ব্যায়াম আজ সারা পৃথিবীতে সমাদৃত, অথচ আমরা অনেকে এ বিষয়ে অজ্ঞ। তবে যোগ ব্যায়ামের ওপরে সুলিখিত অনেক বই আজকাল পাওয়া যায়। এসব পড়ে এবং সম্ভব হলে কোনো বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে সঠিক ধারণা পেতে পারেন। এ ব্যায়ামের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিভিন্ন দেহভঙ্গিমা যাকে আসন বলা হয়। এক-এক আসনে দেহে এক-একভাবে চাপ পড়ে যা দেহের এক-এক অংশের উপকার সাধন করে। এসব আসনে কিছুক্ষণ থাকার পর একটি বিশেষ আসনে বিশ্রাম নিতে হয় যাকে বলে শবাসন।

৯. মনকে চিন্তামুক্ত রেখে বালিশ ছাড়া চিৎ হয়ে হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে শবাসন করতে হয়। সকালে ঘুম ভাঙলে লাফিয়ে বিছানা থেকে না উঠে কিছুক্ষণ শবাসন করুন। এতে শক্তি ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে। প্রতিদিন আধঘন্টা শবাসন করলে মেরুদণ্ড ভাল থাকে, অনেক পরিশ্রম ও মানসিক চাপ সহ্য করা যায় এবং দেহের যে কোনো ব্যথা ও লুকানো সমস্যা দূর হয়। উল্লেখ্য, মেরুদণ্ড ও পাঁজরের হাড়ের মজ্জা থেকে বেশির ভাগ রক্ত উৎপন্ন হয়।

১০. সকালে নাস্তার আগে আরও দু’টি যোগাসন করুন : পবনমুক্তাসন ও ভুজঙ্গাসন। রাতে খাবার হজম হওয়ার সময়ে পেটে জমে ওঠা বায়ু যাবতীয় রোগের এক-তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী। ওপরের দু’টি আসন পেট বায়ুমুক্ত করে ও হজমশক্তি বাড়ায়। পবনমুক্তাসন হাঁপানি, পিঠ ও কোমর ব্যথা এবং বহুমুত্র বা ডায়াবিটিস রুগীর জন্যও উপকারী। ভুজঙ্গাসনও সবরকম পিঠ ও কোমর ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ত্রীরোগের উপশম করে। খাওয়ার পরে বজ্রাসন ছাড়া আর কোনো যোগাসন করা যায় না। বজ্রাসন হজম ও সুনিদ্রার সহায়ক এবং কোমর থেকে পা পর্যন্ত দেহাংশ মজবুত রাখে।

১১. এবার খাদ্য প্রসঙ্গ (এটি খুব স্পর্শকাতর বিষয়, কারণ আমরা অনেকে বাঁচার জন্য না খেয়ে খাওয়ার জন্য বাঁচি।) :

ক) খাদ্যবিজ্ঞানীরা বলেন, “আপনি যা খান আপনি তা-ই।” আজকাল যে অনেক জটিল রোগ আমাদের পিছু নিয়েছে তার একটা বড় কারণ হল কৃত্রিম সার ও কীটনাশক বিষ ব্যবহারের এ যুগে খাদ্যের আদি বিশুদ্ধতা অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছে। তার ওপরে রয়েছে নানা রকম প্রক্রিয়াজাত, ভেজাল মিশ্রিত ও রাসায়নিক উপায়ে সংরক্ষিত খাদ্য যা কোনোভাবেই খাঁটি ও টাটকা খাবারের সমকক্ষ হতে পারে না। ফ্রিজে দীর্ঘদিন রাখা খাদ্যও ক্ষতিকর। অথচ সুস্থ জীবকোষের জন্য বিশুদ্ধ রক্ত দরকার যা শুধুমাত্র খাঁটি ও টাটকা খাবার থেকেই তৈরী হয়।

খ) খাদ্যে একটি গুণগত উপাদান হচ্ছে আঁশ যা অন্ত্রনালী পরিষ্কার রাখে বলে ক্যান্সার প্রতিরোধ সহজ হয়। গমের আটায় আঁশ আছে, ময়দায় নেই। ময়দা একটি প্রক্রিয়াজাত মৃত খাদ্য যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও ক্যান্সারের সহায়ক। এ রকম আরেকটি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য হচ্ছে চিনি যা অনেক মারাত্মক রোগের কারণ রক্তের ঘনত্ব বাড়ায় এবং হাড় পর্যন্ত ক্ষয় করে। সুতরাং ময়দা ও চিনির তৈরী খাদ্য পুরোপুরি বর্জন করা ভাল। সেই সাথে তেল, লবণ ও মশলা নামমাত্র পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত।

গ) প্রতিদিনের আহার্যের শতকরা ৪০ ভাগ শ্বেতসার, ১৫ ভাগ আমিষ এবং ৪৫ ভাগ শাকসবজি ও ফল দিয়ে পূরণ করুন। তবে শ্বেতসার জাতীয় খাদ্য যথা ভাত, রুটি, আলু ইত্যাদির সাথে ফল খাবেন না; অন্তত আধ ঘন্টা পার্থক্য রেখে খাবেন। শ্বেতসারের সাথে আমিষ জাতীয় খাদ্য যথা মাছ, মাংস, ডিম খাওয়াও ভাল নয়। সবজিই হচ্ছে একমাত্র খাদ্য যা আমিষ কিংবা শ্বেতসার - উভয়ের সাথেই খাওয়া যায়। দিনে অন্ততঃ আধ কেজি সবজি খান। সকাল শুরু করুন বেশ খানিকটা কাঁচা পেঁপে ও ফল খেয়ে। এতে যকৃৎ ভাল থাকবে। অংকুরিত গম, ছোলা, মুগ, সিমবীচি প্রভৃতি এবং আটা ও যবের তৈরী খাদ্য নাস্তা হিসেবে ভাল। শাক, সিম ও কপি রাতের বেলায় পেটে বায়ু তৈরী করে বলে এগুলো দিনে খাওয়া উচিত।

ঘ) আমিষের উৎস হিসেবে ডাল চমৎকার। বিশেষতঃ মুগ, মসুর ও মাসকলাই। তা ছাড়া ছোলার ডাল ও অংকুরিত ছোলা সব বয়সের মানবদেহে আমিষের ঘাটতি পূরণ করে এবং বহুমূত্রে ভাল। সেদ্ধ সয়াবিনে আছে এমন উপাদান যা বহুমূত্রে এবং পুরুষের প্রোস্টেট গ্রন্থি ও নারীর জরায়ু রক্ষায় উপকারী। প্রাণীজ আমিষের জন্য মাছ, মুরগীর মাংস ও ডিমের শ্বেতাংশ ভাল। লাল মাংস অর্থাৎ গরু-খাসির মাংস উপাদেয় হলেও ক্ষতিকর চর্বি থাকায় তা অনেক ভয়াবহ রোগের উৎস।

ঙ) সকালে দাঁত মাজার আগে কমপক্ষে ৬০০ গ্রাম পানি পান করার পর ৪৫ মিনিট পানাহার বন্ধ রাখুন। এতে কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় ও অম্লতাসহ বহু জটিল রোগ সারে। দিনে ৮/১০ গ্লাস পানি পান করুন। মেয়েরা কখনও দাঁড়িয়ে পানি পান করবেন না, এতে জরায়ুর ক্ষতি হয়। স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে দুধ চিনি ছাড়া হালকা চা ভাল। ডাবের পানিও ভাল, তবে দিনে একটির বেশী নয়। গরমে প্রাণ জুড়াতে লেবুজলে মধু বা অল্প গুড় মিশিয়ে পান করুন এবং কোলাজাতীয় যাবতীয় কোমল পানীয় থেকে দূরে থাকুন। কারণ স্রেফ মুনাফালোভী ফর্মুলায় বাজারজাত এবং ঝলমলে বিজ্ঞাপনে দেখানো সুদৃশ্য বোতলে ভরা, প্রচুর চিনিগোলা ও সুস্বাদু এসব শরবত ডায়াবিটিসসহ অনেক বড় বড় রোগের কারণ। (এগুলোর সাথে এখন ফাস্ট ফুড যোগ হওয়ায় ফাস্ট ডেথ বা দ্রুত মৃত্যুর ভিত্তি তৈরী হয়েছে।)

চ) খাওয়ার পরিমাণ এবং সময়ও গুরুত্বপূর্ণ। কখনও পেট পুরে খাবেন না। প্রতিদিন একই সময়ে খাওয়া উচিত। রাতের খাওয়া আটটার মধ্যে চুকিয়ে ফেলা ভাল। কারণ বিকেল থেকে হজম শক্তি কমতে থাকে।

১২. রোগ প্রতিরোধক খাদ্য ও পানীয়ের একটি ছোট তালিকা : যব (ঙধঃং) বহুমূত্রে উপকারী, কোলেস্টেরল কমায় এবং ত্বক ও মলাশয় ভাল রাখে। গমাঙ্কুর (ডযবধঃমবৎস) ক্যান্সার প্রতিরোধক। দৈনিক কিছু পরিমাণ টক দই এবং সকালে পানি মিশিয়ে তৈরী করে ছেঁকে নেয়া এক গ্লাস সবুজ শাকের রস (বাঁধাকপি, কলমি, থানকুনি, লেটুস, তেলাকুচা, পাথরকুচি ইত্যাদি) সম্ভব হলে মধু, শুকনো আদা ও ত্রিফলা অর্থাৎ শুকনো আমলকি, হরিতকি ও বহেরার গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে শরীর সতেজ থাকে। একইভাবে পান করা ভাল কাঁচা পেঁপে, গাজর ও লাউয়ের মতো সবজি এবং কামরাঙা ও জাম্বুরার মতো ফলের রস। কাঁচা বেল ফালি করে রোদে শুকিয়ে তৈরী বেল শুঁট ভিজিয়ে বা সেদ্ধ করে পানিসহ নিয়মিত খেলে পেটের অনেক পুরোনো অসুখ, যেমন অজীর্ণ ও আমাশয় সেরে যায়। কলমি শাক ত্বক ভাল রাখে ও ঘা সারায়। কচু শাক রক্ত তৈরী ও পরিষ্কার করে। থানকুনি পাতা পেট, চোখ ও চুল ভাল রাখে। পুদিনা পাতা ফুসফুস, হৃদপিণ্ড ও পেট ভাল রাখে। আদা বাত ও মাথাব্যথা কমায় এবং হজম শক্তি বাড়ায়। আমলকি ভিটামিন ‘সি’-এর সবচেয়ে ভাল উৎস। তিল তারুণ্য ধরে রাখে। কাঁচা হলুদ ভাল রক্ত পরিষ্কারক। কালজিরাকে প্রাচীন কাল থেকেই বলা হয় হাজার রোগের ওষুধ। স্পিরুলিনা (ঝঢ়রৎঁষরহধ) শরীরের ক্ষয় পূরণ করে এবং উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবিটিসসহ অনেক রোগে উপকারী। রশুন-সেদ্ধ পানি সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করে।

১৩. মুখের অপরিচ্ছন্নতা থেকে অনেক রোগ হয়। তাই রাতে শোয়ার আগে অবশ্যই দাঁত মাজুন এবং মোটামুটি শক্ত বিছানায় ঘুমানোর আগে শবাসন করতে করতে মনের যত দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। ১৪. এত অল্প কথায় যা বলা হল তা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিশাল জ্ঞান ভাণ্ডারের একটি ক্ষুদ্র অংশ। তবে অনেকটা স্বচিকিৎসার দ্বারা রোগ প্রতিরোধের মাধ্যমে সুস্থ থাকার উদ্দেশ্যে সংক্ষেপে ও সহজে এ বিষয়ে আরও জানতে চাইলে চিন্ময় সেনগুপ্তের “বিনা ওষুধে রোগ নিরাময়/প্রিটিকিন প্রোগ্রাম” এবং দেবেন্দ্র ভোরার “আপনার স্বাস্থ্য আপনারই হাতে/অ্যাকিউপ্রেশার ও অন্যান্য প্রাকৃতিক চিকিৎসা” নামক বইগুলো পড়তে পারেন।

স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল “স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল” – তা নিশ্চয়ই তোমরা বড়দের কাছে শুনেছো। আসলে সুস্থতা ছাড়াও স্বাস্থ্যের আরেকটি অর্থ হচ্ছে সুখ। রোগ হলে সুখ চলে যায়, তাই রোগকে বলা হয় অসুখ। অসুখ যাতে না হয়, কিংবা হলেও কীভাবে ভাল হওয়া যায় এবং ভাল থাকা যায়, তা জানা ও মেনে চলা খুব দরকারী। বিশেষ করে তোমাদের মতো অল্প বয়সে। তা হলে সহজে তোমাদের অসুখ হবে না এবং নিরোগ দেহে দীর্ঘ জীবন লাভ করতে পারবে। স্বাস্থ্য রক্ষার নিয়ম ভালো করে জানার আগে একটা কথা মনে রাখবে যে, শরীর ও মন একসাথে জড়িত। কাজেই দুটোকেই গুরুত্ব দিতে হবে।

শরীরকে যদি যন্ত্রের সাথে তুলনা কর তাহলে দেখবে যন্ত্রের যেমন তেল, গ্যাস কিংবা বিদ্যুৎ দরকার হয়, শরীরেরও তেমনি দরকার খাদ্য, পানীয় ও বাতাস। বাতাস দূষণমুক্ত হলেই চলে, কিন্তু খাদ্য ও পানীয় নিয়ে অনেক কিছু ভাবার আছে।

প্রথম কথা,

আমরা বাঁচার জন্য খাই না খাওয়ার জন্য বাঁচি? পেটুক বা ‘খাদক’রা অবশ্য বিশ্বাস করে খাওয়ার জন্য বাঁচা উচিত, তবে বেশীর ভাগ মানুষ মনে করে আমরা বাঁচার জন্য খাই। এটাই সত্য। খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে ঠিক সময়ে ভাল মানের খাবার ও পানীয় উপযুক্ত পরিমাণে গ্রহণ করা। পেট কখনও বেশী ভরতে নেই, তাতে হজমের গণ্ডগোল হয়। প্রতিদিন একই সময়ে খাওয়া উচিত। রাতের খাওয়া আটটার মধ্যে সেরে ফেলা ভাল, কারণ বিকেল থেকে হজমশক্তি কমতে থাকে।

এবার দেখা যাক কী খেতে হবে। সহজে হজম হয় এমন খাবারই সব সময়ে খাওয়া উচিত। এতে হজমশক্তির ওপর বেশী চাপ পড়ে না বলে পেট খারাপ হয় না এবং খাবার থেকে পুষ্টি ভালভাবে শরীরে যোগ হয়। অতিরিক্ত তেল, চর্বি, লবণ ও মশলাযুক্ত এবং ভাজা-পোড়া খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। এতে জিনিশেরও অপচয়, স্বাস্থ্যও নষ্ট হয়।

খাবারের একটি উপকারী উপাদান হচ্ছে আঁশ যা অন্ত্র পরিষ্কার রাখে বলে সহজে পেটের ক্যান্সার হয় না। ক্যান্সার খুব মারাত্মক রোগ। খাবার বেশী ঘষে-মেজে কিংবা রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে সাদা, মসৃণ ও উপাদেয় করা হলে আঁশ চলে যায়। এ রকম খাবারকে মৃত খাদ্য বলা হয়। ময়দা ও সাদা চিনি মৃত খাদ্য। এগুলো দিয়ে তৈরী খাবার না খাওয়াই ভাল। কারণ ময়দায় যেমন ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে, তেমনি চিনি আমাদের হাড় পর্যন্ত ক্ষয় করে।

কিন্তু এটা ঠিক যে মিষ্টি জিনিশ খেতে মজা। কাজেই মিষ্টি কিছু খেতে হলে চিনি ছাড়া অন্য কোন উৎসের সন্ধান করা যেতে পারে। যেমন গুড় কিংবা মধু অল্প পরিমাণে খাওয়া চলে। সবচেয়ে ভাল হচ্ছে মিষ্টি ফলমূল। চিনির তৈরী পানীয় দ্রব্যও খারাপ। বিশেষ করে কোলাজাতীয় পানীয়গুলো। সেইসাথে ময়দা, তেল, মাখন ইত্যাদি দিয়ে তৈরী নানারকম মজাদার খাবার যেমন পরোটা, পাঁউরুটি, বিস্কুট, চিপস, নুডলস, সেমাই, কেইক, পেস্ট্রি, প্যাটিস, চানাচুর, বার্গার ও বিভিন্ন ‘ফাস্ট ফুড’ খাওয়ার অভ্যাস মারাত্মক সব রোগ, যেমন হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, বহুমূত্র বা ডায়াবিটিসের জন্ম দিচ্ছে। এশিয়ায় অল্পবয়েসীদের মধ্যে বহুমূত্র রোগের হার অনেক বেড়েছে এবং বেড়েই চলেছে শুধু এ কারণে।

মানুষ অভ্যাসের দাস। কাজেই সুস্বাদু অথচ খারাপ খাবার খাওয়া একটু কষ্ট করে ছেড়ে দিয়ে ভাল খাবার প্রথম প্রথম একটু কম স্বাদ লাগলেও খেয়ে অভ্যাস করা উচিত। অখাদ্য খাওয়ার অভ্যাস না করলে কষ্ট করে সে অভ্যাস বাদও দিতে হয় না। ধূমপান ও বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের নেশার বেলায়ও এ কথা খাটে।

শতকরা হিসেবে খাবারের ৪০ ভাগ শ্বেতসার অর্থাৎ ভাত-রুটি, ১৫ ভাগ আমিষ অর্থাৎ মাছ-মাংস-ডিম-ডাল এবং বাকী ৪৫ ভাগ শাক-সবজি-ফলমূল হওয়া উচিত। গরু-খাসীর মাংসে চর্বি থাকে বলে তা বিপজ্জনক এবং বেশী খেলে বড় বড় রোগ হয়। দিনে অন্তত আধ কেজি সবজি খাওয়া ভাল। নাস্তায় কাঁচা পেঁপে বেশ কিছুটা থাকতে হবে। আর থাকতে হবে যে কোনো ধরনের ফল। প্রতিদিন পাঁচ রকম ফল ও ছয় রকম সবজি খাওয়া উচিত। সবজি তিন বেলাই খাওয়া যায়। তবে শাক, সিম ও কপি জাতীয় সবজি রাতে খেলে পেটে বায়ু জমে। খাওয়ার জন্য দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে সকাল। সকালের চেয়ে দুপুর এবং দুপুরের চেয়ে রাত কম গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে এটা না জেনে নাস্তার চেয়ে দুপুরে এবং দুপুরের চেয়ে রাতে বেশী খেয়ে অসুস্থ হয়।

টাটকা খাবার থেকে বিশুদ্ধ রক্ত তৈরী হয় এবং বিশুদ্ধ রক্ত শরীরের জীবকোষগুলোকে সুস্থ রাখে। এ জন্য বাসী খাবার খাওয়া উচিত নয়। ফ্রিজেও খাবার বেশী সময় রাখলে এর গুণাগুণ ও স্বাদ নষ্ট হয়। শরীরের অধিকাংশ পানি বলে তা পূরণের জন্য দিনে ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করা উচিত। এর মধ্যে সকালে খালি পেটে ৬০০ গ্রাম (২ থেকে ৩ গ্লাস) পানি পান করার পর ৪৫ মিনিট পানাহার বন্ধ রাখলে সহজে পায়খানা হয় এবং অম্লতাসহ বহু জটিল রোগ সারে। ডাবের পানিও ভাল, তবে দিনে একটার বেশী নয়। দুধ-চিনি ছাড়া হালকা চা উপকারী।

খাদ্য ও পানীয় গ্রহণে বাছবিচার ছাড়াও শরীর ও মনকে সচল রাখার জন্য দরকার উপযুক্ত ব্যায়াম। ছোটদের বেলায় ব্যায়ামের গুরুত্ব আরও বেশী এ জন্য যে, এর মাধ্যমে তাদের শরীর গঠন ও ব্যক্তিত্বেরও বিকাশ ঘটে। ব্যায়ামের অনেক পদ্ধতি আছে। হাঁটা, দৌড়, ঝাঁপ ও এগুলোর ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকম খেলা এবং সাঁতার হচ্ছে এক ধরনের ব্যায়াম। আবার সাইকেল কিংবা নানা যন্ত্রপাতির সাহায্যে করা হয় আরেক ধরনের ব্যায়াম।

আরও এক রকম ব্যায়াম আছে যার জন্য দৌড়াদৌড়িও করতে হয় না, যন্ত্রপাতিও লাগে না, অথচ যা খুবই উপকারী। এর নাম যোগ ব্যায়াম। শরীরের বিভিন্ন অংশে পালাক্রমে চাপ সৃষ্টি এবং তা শিথিল করার মাধ্যমে এ ব্যায়াম সম্পন্ন হয়। এর নিয়ম-কানুন নিয়ে অনেক বই আছে, কেউ কেউ এ ব্যায়াম শিখিয়েও থাকেন। তোমরা বই পড়ে ও সুযোগ থাকলে কারো কাছ থেকে যোগ ব্যায়াম শিখে নেবে। এর সাথে অন্যান্য ব্যায়াম চালিয়ে গেলে লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই। যেমন, হাঁটা। প্রতিদিন কমপক্ষে আধ ঘন্টা জোরে জোরে হাঁটলে শরীর নমনীয় থাকে ও মগজে প্রচুর অক্সিজেন ঢোকে বলে উদ্বেগ বা টেনশন কমে। যোগ ব্যায়ামের বিভিন্ন দেহভঙ্গিমাকে বলা হয় আসন। এখানে চারটি অতি প্রয়োজনীয় আসনের বর্ণনা দেয়া হল যেগুলো সব বয়সের মানুষেরই করা উচিত।


শবাসন


প্রথমটি হচ্ছে শবাসন। শব বা লাশের মতো নির্জীব ভঙ্গিতে শুয়ে থাকার জন্য এ নামকরণ। এ আসনে বালিশ ছাড়া চিৎ হয়ে হাত-পা জন্য এ নামকরণ। এ আসনে বালিশ ছাড়া চিৎ হয়ে হাত-পা ছড়িয়ে মনকে চিন্তামুক্ত করে শুয়ে থাকতে হয়। এটি যে কোনো সময়ে করা যায় এবং দৈনিক আধ ঘন্টা করলে মেরুদণ্ড ভাল থাকে। মেরুদণ্ড ও পাঁজরের হাড়ের মজ্জা থেকে বেশীর ভাগ রক্ত তৈরী হয়। তা ছাড়া এ আসনটি করলে অনেক পরিশ্রম ও মানসিক চাপ সহ্য করা যায়, পড়া মনে থাকে এবং শরীরের যে কোনো ব্যথা ও লুকিয়ে থাকা সমস্যা দূর হয়। সকালে লাফ দিয়ে বিছানা ছেড়ে না উঠে কিছুক্ষণ এটি করলে শক্তি ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তবে বিছানা যেন এত নরম না হয় যে চিৎ হয়ে শুলে মেরুদণ্ড বেঁকে যায়।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় আসন দু’টি হচ্ছে পবনমুক্তাসন ও ভুজঙ্গাসন। এ দুটোও নাস্তার আগে কিংবা সন্ধ্যায় করা যায়। খাবার হজম হওয়ার সময়ে পেটে যে বায়ু জমে তা যাবতীয় রোগের চার ভাগের তিন ভাগের জন্য দায়ী।। এ আসন দু’টি করলে পেট বায়ুমুক্ত হয় ও হজমশক্তি বাড়ে। তা ছাড়া পবনমুক্তাসন বহুমূত্র ও হাঁপানী রোগে উপকারী। ভুজঙ্গাসন সব রকম পিঠ ও কোমর ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ এবং মেয়েলী অসুখের উপশম ঘটায়। চতুর্থ আসনটি বজ্রাসন, যা খাওয়ার পরপরই করতে হয়। এটি হজমে ও ঘুমে সহায়তা করে এবং মেরুদণ্ড ভাল রাখে। এর পরও শরীরের বিভিন্ন চাহিদা অনুযায়ী নানা রকম যোগাসন বা অন্যান্য ব্যায়াম করা যেতে পারে।

শবাসন ছাড়া ওপরের বাকী তিনটি আসনের বর্ণনা সংক্ষেপে নীচে দেয়া হল।

পবনমুক্তাসনঃ


চিৎ হয়ে শুয়ে প্রথমে ডান পা হাঁটু থেকে ভাঁজ করে পেট ও বুকের ওপর রেখে দু’হাত দিয়ে চেপে ধর। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে মনে মনে দশ থেকে ক্রমশঃ বাড়িয়ে তিরিশ পর্যন্ত গোন। তারপর ডান পা নামিয়ে বিশ্রাম নাও। আসনটি দু’বার করলে চলে।

পবনমুক্তাসন

(ক) পবনমুক্তাসন

(খ) বাঁ পা এবং পরে দু’পা চেপে ধরে সংখ্যা গোনা হয়ে গেলে এটাকে বলা হবে একবার। শবাসনে সমান সময় বিশ্রাম নিয়ে পরপর তিন বার এটা করা উচিত।

ভুজঙ্গাসনঃ

পা দু’টি সোজা রেখে সটান উপুড় হয়ে শুয়ে পড়। দু’হাতের তালু উপুড় করে পাঁজরের কাছে দু’পাশে মেঝেতে রাখ। এবার পা থেকে কোমর পর্যন্ত মেঝেতে রেখে হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে মাথা যতদূর সম্ভব ওপরে তোল। এখন মাথা সাধ্যমতো পিছন দিকে বাঁকিয়ে ওপরের দিকে তাকাও। ২৫-৩০ সেকেণ্ড শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে এ অবস্থায় থাক। তারপর আস্তে আস্তে মাথা ও বুক নামিয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে পড় ও শবাসন

ভুজঙ্গাসন বজ্রাসনঃ

হাঁটু ভাঁজ করে পা দু’টি পিছনদিকে মুড়ে নামাজে বসার মতো ভঙ্গিতে শিরদাঁড়া সোজা করে বস। হাতের তালু উপুড় করে দু’হাঁটুর ওপর রাখ। পাছা গোড়ালির ওপর থাকবে। প্রথম ক’দিন একটু অসুবিধা হতে পারে। তাই যতক্ষণ সহজভাবে পার ঐ অবস্থায় বস। একবারে বেশীক্ষণ না থাকতে পারলে শ্বাস স্বাভাবিক রেখে আসনটি তিন বার কর এবং শবাসনে বিশ্রাম নাও।

বজ্রাসন

শরীরের সাথে মনের যোগাযোগ রক্ষা করে স্নায়ু। সমস্ত স্নায়ু মিলে তৈরী হয়েছে স্নায়ুতন্ত্র যার একটা বড় অংশ শেষ হয়েছে পায়ের তলায়। সে জন্য পায়ের তলা কর্কশ কোনো কিছু, যেমন ধুন্দুলের ছাল বা প্লাস্টিকের ব্রাশ, দিয়ে হাত ঘুরিয়ে অনেকক্ষণ ঘষলে শরীর সতেজ থাকে এবং অসুস্থ শরীর ধীরে ধীরে সেরে ওঠে। কাজেই রোজ যখনই সম্ভব একেক পায়ের তলা অন্তত দশ মিনিট করে ঘষে আঙুলগুলো ওপর-নীচ করে টানবে।

মুখ ধোয়ার সময়ে চোখে অনেক বার পানির ঝাপটা দাও। নাক দিয়ে পানি যতোটা সম্ভব টেনে ছেড়ে দিলে সহজে সর্দি-কাশি কিংবা মাথা ব্যথা হবে না। রাতে শোয়ার আগে অবশ্যই দাঁত মাজবে, কারণ মুখের অপরিচ্ছন্নতা থেকে অনেক রোগ হয়। তা ছাড়া যখনই কিছু খাবে বা পানি ছাড়া অন্য কিছু পান করবে, সাথে সাথে পানি দিয়ে ভাল করে কুলি করলে দাঁত ভাল থাকবে। আর জানো তো, দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝা বুদ্ধিমানের কাজ!

জেবুন নেসা
প্রাক্তন চীফ পার্সার
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স্



Foez


সাপলুডু মূলপাতা





No comments:

Post a Comment

About Me

My photo
Mahmudul Huq Foez Free-lance journalist, Researcher.