Scrollwhite

মাহমুদুল হক ফয়েজ My name is Mahmudul Huq Foez, I am a journalist, leaving in a small town, named Noakhali , which is situated in coastalzila of Bangladesh

হোমপেইজ | আর্টিকেল | ছোটগল্প | ফিচার | মুক্তিযুদ্ধ | বনৌষধি | সুস্বাস্থ্য | কবিতা | যোগাযোগ

হাতিশুঁড়ো

হাতিশুঁড়ো
Hatishuro


উদ্ভিদের নাম : হাতিশুড়, হস্তিশুন্ডি হাতিশুঁড়ো, Hatishuro

স্থানীয় নাম : হাতিশুঁড়ো

ভেজষ নাম : Heliotropium indicum Linn..
ফ্যামিলি:- Boraginaceae

ব্যবহার্য অংশ : সমগ্র গাছ

রোপনের সময় : যে কোনো সময় জন্মে।

উত্তোলনের সময় : যে কোনো সময় সংগ্রহ করা যায়।

আবাদী/অনাবাদী/বনজ : অজত্নে যত্রতত্র জন্মে।

চাষের ধরণ : গ্রীষ্মে ফুল হয়। আতি ক্ষুদ্র ফল পেকে ছড়িয়ে বংশ বিস্তার হয়।

উদ্ভিদের ধরণ: ছোট গুল্ম জাতীয় গাছ।

পরিচিতি: বর্ষজীবী ছোট গুল্ম, ভারতবর্ষের অযত্নসম্ভুত অতি সাধারণ গাছ, এক দেড় ফুট উঁচু হয়। এই গাছের কান্ডগুলি ফাঁপা ও নরম। পুষ্পদন্ডেব বিশেষ বৈশিষ্ট্য লক্ষনীয়। এর পুষ্পদন্ডটি দেখতে হাতির শুঁড়ের মত,তাই হয়ত তার এই নামকরণ হয়েছে।


ঔষধি গুনাগুন :
১। ফুলোয়- হাঠৎ ঠান্ডা লেগে হাতে পায়ের গাঁট ফুলে গেলে (এটা সাধারণতঃ কফের বিকারে হয়) এই হাতিশুঁড়ো পাতা বেটে অল্প গরম করে ঐ সব ফুলোর জায়গায় লাগালে ওটা কমে যায়।
২। আঘাতের ফুলায়- এই পাতা বেটে গরম করে ঐ আঘাতের জায়গায লাগালে ব্যথা ও ফুলো দুইই চলে যায়।
৩। বাগীর ফুলোয়- ঊরু ও তলপেটের সন্ধিস্থানে অর্থাৎ কু’চকীতে যেটা হয় তার নামই বলা হয় বাগী, ডান বা বাম যে কোন দিকেই হতে পারে। সাধারণঃ এটা যৌন সংসর্গের সময় অস্বাভাবিক অবস্থানের জন্য অথাব মেহ বা ঔপসর্গিক মেহ (গণোরিয়া) রোগাগ্রস্ত লোকগুলি এই রোগের বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এক্ষেত্রেও ঐ পাত্য বেটে অল্প গরম করে লাগালেও কমে যায়।
৪। রিউমেটিকে- এই বাতে ফুলো থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। এগুলি সাধারণতঃ অস্থির সন্ধিস্থানে (গাঁটে) বেশী হয়। এ ক্ষেত্রে এরন্ড তৈলের (রেডির তেল) সঙ্গে এই পাতার রস বা পাতা বাটা দিয়ে পাক করে ছেঁকে নিয়ে সেই তৈল গাঁটে লাগাতে হয়। রেডির তেল বৈদ্য দোকানে পাওয়া যায়।
৫। বিষাক্ত পোকার কামড়ে- জ্বালা করে কোন কোন ক্ষেত্রে ফুলেও যায়, সে সময় এই পাতার রস করে লাগালে ওটা কমে যায়।
৬। শ্লেষ্মা জ্বরে- সর্দিতে বুক ভার, সেক্ষেত্রে এই পাতার ২ চামচ একটু গরম করে ছেঁকে নিয়ে খেতে দিতেন প্রাচীন বৈদ্যরা। এর দ্বারা সর্দিটা বমি হয়ে বেরিয়ে যায়।
৭। টায়ফায়েড জ্বরে- পিপাসা ও সঙ্গে মাথা চালাও প্রবল থাকে, এ ক্ষেত্রে ঐ পাতার রস গরম করে ছেকে ঐ রস ১০ ফোঁটায় একটু জল মিশিয়ে খেতে দিতে হয়। আধ ঘন্টা অন্তর দুই/তিন বার খাওয়ালে এই উপসর্গটা প্রশমিত হয়, তবে দুই তনি বারের বেশী খাওয়ানো উচিত নয়।
৮। ফেরিনজাইটিসে- অথবা লেরিন জাইটিস হলে পাতার রস ২ চামচ আধ কাপ অল্প গরম জলে মিশিয়ে গারগেল (মধৎমষব) করতে হয়। প্রত্যহ সকালে বৈকালে দুই বার করতে পারলে ভাল। এমন কি গলার মধ্যে ক্ষত ভাব দেখা দিলে সেটাও সেরে যায়। তবে এসব ক্ষেত্রে এর সঙ্গে ২/৩ চামচ বাসক পাতার রস একটু গরম করে প্রত্যহ একবার করে খেতে পারলে কফের বিকারটা নষ্ট হয়।
৯। এক্জিমায়- এই পাতার রস লাগালে কমে যায়।









চিরঞ্জীব বনৌষধী
আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য
১ম-খন্ড, পৃষ্ঠা-২৭৬


মাহমুদুল হক ফয়েজ
মুঠোফোনঃ ০১৭১১২২৩৩৯৯
e-mail:- mhfoez@gmail.com

No comments:

Post a Comment

About Me

My photo
Mahmudul Huq Foez Free-lance journalist, Researcher.