দূর্বাঘাস
Grass

উদ্ভীদের নামঃ- দূর্বাঘাস
বৈজ্ঞানিক নাম : Cymodun dactylon pers.
ইংরেজি নাম : Durva grass
পরিবার : Gramineas
অন্যান্য প্রচলিত নাম : দূর্বা (সংস্কৃত), দূর্বা (বাংলা) দুব (হিন্দি ও উড়িষ্যা) । এ ছাড়া সহস্রবীর্য, শত পার্বিকা প্রভৃতি নামেও এটা পরিচিত ।
উদ্ভিদের বর্ণনা: দূর্বা একটি অতি পরিচিত ঘাস । এটি রাস্তার ধারে পতিত জমিসহ প্রভৃতি স্থানে প্রচুর জন্মে থাকে । প্রত্যেক পর্ব থেকে নিচে গুচ্ছমূল এবং উপরে সবুজ পাতাযুক্ত একগুচ্ছ শাখা বের হয় । পাতা সরু, লম্বা, সবুজ ও মসৃণ, দুই সারিতে সজ্জিত।

ব্যবহার্য অংশ: পাতা ও শিকড়
ব্যবহার : এর ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল।
কেটে গেলে: শরীরের কোন স্থানে কেটে গেলে দূর্বা ঘাস পানি ছাড়া বেটে অথবা চিবিয়ে কাটা স্থানে বসিয়ে দিলে রক্তপড়া খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায় এবং কাটা স্থানে তাড়াতাড়ি জোড়া লেগে যায়। রক্তপড়া বন্ধ করার এটি একটি অব্যর্থ প্রচেষ্টা ।
নাক দিয়ে রক্ত পড়া: নাক দিয়ে রক্ত পড়তে থাকলে দূর্বা ঘাসের রস নাক দিয়ে টেনে নিলে রক্তপড়া বন্ধ হয় ।
চর্মরোগ: এক ছটাক পরিমাণ দূর্বার রস এক পোয়া পরিমান তিল তেলে ভালভাবে জ্বাল দিয়ে শরীরে মালিশ করলে সকল প্রকার চর্মরোগ সেরে যায় ।
রক্তস্রাব বন্ধ : স্ত্রীলোকদের রক্তস্রাব বন্ধ না হয়ে চলতে থাকলে অথবা ঋতুস্রাব ছাড়াই রক্ত যেতে থাকলে দুই তোলা মাত্রায় দুর্বার রস চিনিসহ কয়েকবার খেলে স্রাব বন্ধ হয় ।
বমি: কোন কারণে গা বমি বমি করলে এক তোলা দূর্বার রস এক তোলা পরিমান চিনিসহ খেলে বমি ভাব সেরে যায় ।
পুরাতন আমাশয়: পুরাতন আমাশয় এবং পুরাতন উদরাময়েও দূর্বা ঘাসের রস ব্যবহার করা যায় । এটি মূত্রকর তাই শোথরোগে বিশেষ হিতকর । এর রস( দুধের সাথে খেলে অর্শের রক্তপাত ও মূত্রযন্ত্রের চুলকানি বন্ধ হয় এবং শিকড়ের রস ছানার সাথে খেলে পুরাতন মেহ রোগ সেরে যায় ।

অন্যান্য ব্যবহার:
১। দূর্বার রস কাঁচা দুধের সাথে মিশিয়ে সকাল-বিকাল খাওয়ালে রক্তপিত্তে রোগ (নাক, মুখ প্রভৃতি অঙ্গ দিয়ে রক্তপড়া) উপশম হয় ।
২। দূর্বার রস দিয়ে তেল গরম করে মাথার মাখলে চুল উঠা বন্ধ হয়ে যায় ।
৩। দূর্বা ঘাসের গুঁড়া দিয়ে দাঁত মাজলে পায়োরিয়া (দাঁত দিয়ে রক্ত পড়া) সেরে যায় ।





মাহমুদুল হক ফয়েজ
মুঠোফোনঃ ০১৭১১২২৩৩৯৯
e-mail:- mhfoez@gmail.com

No comments:
Post a Comment