Scrollwhite

মাহমুদুল হক ফয়েজ My name is Mahmudul Huq Foez, I am a journalist, leaving in a small town, named Noakhali , which is situated in coastalzila of Bangladesh

হোমপেইজ | আর্টিকেল | ছোটগল্প | ফিচার | মুক্তিযুদ্ধ | বনৌষধি | সুস্বাস্থ্য | কবিতা | যোগাযোগ

বজরা শাহী জামে মসজিদ


মোঘল শিল্প কর্মের অনুপম সৃষ্টি বজরা শাহী জামে মসজিদ


উপক্রমণিকা:
ভারতীয় উপমহাদেশে মুঘল শাসনামলে (১৫২৬-১৭০৭) খ্রিঃ সম্রাটের আগ্রহ ও পৃষ্ঠপোষকতায় রাজকীয় চিত্রকরদের দ্বারা ইরানী, ভারতীয় ও ইউরোপীয় প্রভাবে বিভিন্ন রাজকীয় ভবন ও মসজিদ নির্মিত হয়েছে। যার অনুপম নিদর্শন ও কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে বজরা শাহী জামে মসজিদমুঘল আমলে স্থাপিত কয়েকটি  ঐতিহাসিক মসজিদের মধ্যে বজরা শাহী জামে মসজিদ অন্যতম।

অবস্থান:
নোয়াখালীর মাইজদী শহর থেকে প্রায় ১৫ কিঃ মিঃ উত্তরে সোনাইমুড়ী উপজেলার ৭নং বজরা ইউনিয়নের বজরা নামক স্থানে প্রধান সড়কের পাশে  ঐতিহাসিক বজরা শাহী জামে মসজিদ অবস্থিত।
ঘটে যাওয়া ঘটনা:
দিল্লীর প্রতাপশালী মুঘল সম্রাট আকবরের (১৫৫৬-১৬০৬) খ্রিঃ নিন্মতম বংশধর মুহাম্মদ শাহের (১৭১৯-১৭৪৮) খ্রিঃ শাসনামলে পারস্য দেশীয় পীর মিয়া আম্বর শাহ্‌ ইসলাম প্রচারের জন্য নোয়াখালী জেলার বজরা নামক স্থানে আসেন। ইসলাম প্রচারের সুবিধার্থে দিল্লীর বাদশা পীর সাহেবকে তাম্রপাতে লিখে বজরা এলাকা লাখেরাজ করে দেন। পীর সাহেব ইসলাম প্রচারের এক পর্যায়ে স্থানীয় ছনগাঁও গ্রামের এক বিধবার  ছেলে আমানউল্ল্যা ও ছানাউল্ল্যাকে পালন করেন। পীর সাহেব আমানউল্ল্যাকে মসজিদ ও ছানাউল্ল্যাকে মসজিদের সামনেই একটি দীঘি খনন করার নির্দেশ দিলে ছানা উল্ল্যা ৩০ একর জুড়ে একটি দীঘি খনন করেন। দীঘির পশ্চিম পাড়ে আমানউল্ল্যা দিল্লীর শাহী জামে মসজিদের অনুকরণে ১৭৪১ খ্রিঃ ১১৫৪ হিঃ ও ১১৩৯ বাংলা সনে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছে ২৬ বছর। মসজিদটি নির্মাণের ১৭৭ বছর পর ১৯০৯ সালে আমানউল্ল্যার বংশ বলে কথিত আলী আহাম্মদ ও মুজির উদ্দিন নামক দুই ব্যক্তি চীনা মাটির  গ্লাস দ্বারা মসজিদের শোভা বর্ধন করেন।

মসজিদের স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য:


                      

 
ঐতিহাসিক বজরা শাহী জামে মসজিদের বহুভাঁজ খিলানের কোণায় ফুল ও লতা নক্সা, আয়তাকার 
খোপের মধ্যে খিলান নক্সা, আয়তাকার খোপের উপরিভাগে পাতা নক্সা, পাতা নক্সার ওপরে দড়ির মতো উদগত গোলাকার বাঁধনের খোপ ফুল ও লতা নক্সা রয়েছে। এছাড়া দরজার আয়তাকার খোপের ওপর তারা ও বরফি নক্সা, টারেটের গায়ে জেব্রাক্রসের মতো নক্সা, বিভিন্ন রঙের পাথর ও তৈজসপত্রের খন্ডিত অংশের সংমিশ্রণে করা হয়েছে। গম্বুজ গায়ে চাঁদ তারা ও পাখা নক্সা ছাড়াও গম্বুজের একেবারে ওপরের দিকে পদ্মের পাপড়ি নক্সা ও লম্বা চূড়াতে কলসির মতো ধাতব বস' 'াপন করে গম্বুজগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। অষ্টভুজাকৃতি কর্ণার টাওয়ারে মোটা দড়ির মতো উদগত বাঁধনের সাহায্যে 
ঘূর্ণায়মান আয়তাকার খোপ নির্মাণ করে প্রত্যেক বাহুর
 খোপের ভেতরে অন্ধখিলান (ব্লাইন্ড আর্চ) নক্সা, খিলানের ভেতর বিভিন্ন প্রকারের ফুলদানি নক্সা, তারা নক্সা, বরফি নক্‌সা লতাপাতা ও ফুল নক্সা দিয়ে অলংকৃত করা হয়েছে। চত্বরের সামনের দিকে প্রধান ফটকের দুপাশে ও মিনারের মসজিদের মতো বিভিন্ন ধরণের অলঙ্করণ ছাড়াও ডোরাকাটা নক্সা অত্যন্ত আকর্ষণীয়। অভূতপূর্ব স্থাপত্যকলায় নির্মিত এই মসজিদ।  

 মসজিদের প্রবেশের জন্য তিনটি পাথরের দরজা রয়েছে। মধ্যবর্তী প্রধান দরজাটি তুলনামূলকভাবে বড়। এর সম্মুখভাগে তিনটি অংশে বিভক্ত। মসজিদের মধ্যবর্তী স'ানের দেয়াল সামনের দিকে বাড়ানো। এই বাড়ানো দিকের মধ্যবর্তী অংশে ২.৩১ মিটার প্রশস- অর্ধ বৃত্তাকৃতি একটি বহুভাঁজ খিলান রয়েছেএই খিলানের ১.২২  মিটার ভেতরে পাথরের মূল দরজাটি তৈরি হয়েছে। বহুভাঁজ খিলান একটি আয়তাকার খোপের মধ্যে নির্মিত। এই খিলানের উভয় পাশে আয়তাকার খোপের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অন্ধ খিলান রয়েছে। খিলানের অপর দিকে মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে শিলালিপি। মসজিদের সামনের দিকে বাড়ানো অংশের দুপ্রান্ত সীমায় অষ্টভুজাকৃতি কর্ণার টারেট ক্রমশ সরু হয়ে ওপরের দিকে উঠে গেছে। কর্ণার টারেটের নিচের দিক অনেকটা ফুলের টবের মতো নির্মিত। মনে হয় টারেটগুলো ফুলের টবের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

মসজিদের প্রবেশ পথের দুদিকে দুটি দরজা প্রধান প্রবেশ পথের মতো হলেও ছোট আকৃতির। দরজার উভয় পাশে অষ্টভুজাকৃতি টারেট ক্রমান্বয়ে সরু হয়ে ওপরে উঠে গেছে। দরজার ওপরিভাগে আয়তাকার খোপের মধ্যে সাদা পাথর বা চীনা মাটির তৈরি আরবী বর্ণমালায় লেখা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহমসজিদের চার কোণে চারটি অষ্টভুজাকৃতি কর্ণার টাওয়ার রয়েছে। কর্ণার টাওয়ারকে দড়ি নক্সার মাধ্যমে বাঁধন সৃষ্টি করে কয়েকটি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে। বাঁধনের অন্ধ খিলানের ভেতর আয়তাকার খোপের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অন্ধ খিলানের ব্যবহার বিদ্যমান। কর্ণার টাওয়ারের ওপরের অংশ কিছুটা সরু করে গম্বুজাকৃতি চূড়া তৈরি করা হয়েছে। মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ দিকের মধ্যবর্তী অংশের বের হয়ে আসা জায়গায় কোণাকৃতির দুটি পাথরের দরজা রয়েছে। দরজার দুপাশে রয়েছে টারেট। মসজিদের পশ্চিমাংশের বাইরের দিকও এর সম্মুখভাগের মতো নির্মিত। 


মসজিদের ওপরের দিকে সারিবদ্ধ রয়েছে তিনটি গম্বুজ। মধ্যবর্তী গম্বুজটি তুলনামূলকভাবে বড়। প্রত্যেকটি গম্বুজ অষ্টভুজাকৃতি। মসজিদের সম্মুখভাগে রয়েছে পাকা চত্বর। চত্বরের পূর্ব পাশে বহুভাঁজ খিলানযুক্ত প্রধান ফটক রয়েছে। প্রধান ফটকের সামনের দিকে উত্তর ও দক্ষিণ দিকে সমপ্রসারণ করে টারেট নির্মাণ করা হয়েছে। টারেট ও ফটকের মধ্যবর্তী স'ানে বিভিন্ন প্রকার অন্ধ খিলানযুক্ত কুলুঙ্গি নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া সমপ্রসারিত অংশে অন্ধ খিলান ও সামনের দিকের দুপ্রানে- দুটি উঁচু টাওয়ার রয়েছে। প্রধান ফটকের ঠিক উপরিভাগে আয়তাকার নির্মাণ কাঠামো রয়েছে। এই নির্মাণ কাঠামোর চার কোণে চারটি টারেট রয়েছে। মসজিদের আজান দেয়ার জন্য এই নির্মাণ কাঠামোর মধ্যবর্তী স'ানে অষ্টভুজাকৃতি মিনার নির্মিত হয়েছে। মিনারটি দেখতে অনেকটা ছাতার মত। মিনারের প্রত্যেক বাহুর কোণায় টারেটগুলো ক্রমশ সরু হয়ে ওপরে উঠে গেছে। মিনারের চারদিকে চারটি কৌণিক খিলান রয়েছে এবং এগুলোর ওপরে ছোট গম্বুজ তৈরি করা হয়েছে।৩ বর্তমানে মসজিদের পূর্ব পার্শ্বে নামাজ পড়ার জন্য সামিয়ানা দিয়ে সমপ্রসারণ করা হয়েছে।
আয়তন:
প্রায় ১১৬ ফুট দৈর্ঘ্য, ৭৪ ফুট প্রসে'র জায়গার মধ্যে ৫৪ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৭ ফুট প্রস' এবং প্রায় ২০ ফুট উঁচু তিন গম্বুজ বিশিষ্ট কম্পাউন্ড দেয়াল ঘেরা চতুষ্কোণাকৃতি এই ঐতিহ্যবাহী বজরা শাহী জামে মসজিদ স'াপিত। মসজিদটির উচ্চতা সমপরিমাণ ২০ ফুট মাটির তলদেশেও রয়েছে।


কবরস্থান:  
মসজিদের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে আমানউল্ল্যা ও ছানাউল্ল্যা ভ্রাতৃদ্বয় ও তাদের মাতার কবর রয়েছে। পাশেই আছে আম্বর শাহের মাজার। সবমিলে এখানে ১২ জন ওলীয়ে কালেমের মাজার রয়েছে।
মসজিদ নির্মাণ করার পর আমানউল্ল্যা মসজিদ সংলগ্ন দুই একর ভূমির ওপর বিরাট এক কবরস'ানের ব্যবস'া করেন। ১৭৪১ খ্রিঃ হতে আজ পর্যন- উক্ত কবরস'ানে শত সহস্র মানুষকে দাফন করা হয়েছে এবং মক্কা শরীফের কাফিলা অত্র মসজিদের সম্মানিত প্রথম ইমাম হতে শুরু করে তারই বংশের নিন্মতম ছয়জন ইমামের কবরও এখানে রয়েছে।
ইমাম পরিচিতি:
বাদশা মোহাম্মদ শাহ এর একান- আবেগ ও আগ্রহে আরব দেশের মক্কা শরীফের কাফিলা তৎকালীন অন্যতম শ্রেষ্ঠ বুজুর্গ আলেম হযরত মাওলানা শাহ্‌ আবু বকর সিদ্দিকী সাহেব এই মসজিদে সর্বপ্রথম ও প্রধান ইমামতির দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তার মৃত্যুর পর তার নিন্মতম পুরুষগণই যোগ্যতা ভিত্তিক তার স'লাভিষিক্ত হয়ে অদ্যাবধি ইমামতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। নিন্মে ইমামগণের নামের তালিকা ও কার্যকাল সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হল।৪
১ম. হযরত মাওলানা শাহ্‌ সুফি আবু বকর ছিদ্দিকী(১৭৪১-১৭৯৬)খ্রিঃ মোট ৩৬ বছর।
২য়. হযরত মাওলানা মোঃ ইসমাইল ছিদ্দিকী (১৭৯৬-১৮৪৭) খ্রিঃ মোট ৫১ বছর।
৩য়. হযরত মাওলানা আবুল খায়ের ছিদ্দিকী (১৮৪৭-১৮৯০) খ্রিঃ মোট ৪৩ বছর।
৪র্থ. মাওলানা আলী করিম ছিদ্দিকী (১৮৯০-১৯২৫) খ্রিঃ মোট ৩৫ বছর।
৫ম. মাওলানা গোলাম ছিদ্দিকী (১৯২৫-১৯৭২) খ্রিঃ মোট ৪৭ বছর।
৬ষ্ঠ. মাওলানা আবদুল্লাহ ছিদ্দিকী (১৯৭২-১৯৯৫) খ্রিঃ মোট ২৩ বছর।
৭ম. মাওলানা হাসান ছিদ্দিকী ১৯৯৫ থেকে ...

মোতাওয়াল্লী:
বজরা শাহী জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী ছিলেন কুমিল্লা নিবাসী মরহুম মুন্সী নাছির উদ্দীন। জমিদারী প্রথা উচ্ছেদের পর মরহুম মুন্সী নাছির উদ্দীন ও তার ওয়ারিশগণের কেউ বজরা শাহী জামে মসজিদটির তত্ত্বাবধান করণে আসেনি এবং কোন খোঁজ খবরও নেয়নি।
মসজিদের উন্নয়নকল্পে ওয়াকফভূক্ত গ্রাম:
জমিদারী আমলে জমিদার আমানউল্ল্যা কর্তৃক জারিকৃত আদেশে ছনগাঁও, বজরার পূর্বাংশ ও মৌটুরী গ্রামের কিছু অংশ বজরা শাহী জামে মসজিদের উন্নয়নকল্পে ওয়াক্‌ফ আওতাভূক্ত করা হয়। জমিদারী প্রথা উচ্ছেদের পর উক্ত ওয়াকফভূক্ত গ্রামগুলো সরকারি খাস জমি হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়। বর্তমানে জমিগুলো সরকারি খাস হিসেবে থাকায় মসজিদ তার সুবিধা থেকে বঞ্চিত। খাস জমি হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকলেও তা বর্তমানে এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তির দখলে রয়েছে।
দীঘি:
মসজিদের মুসল্লীদের অজু-গোছলের জন্য প্রায় ৩০ একর ভূমি জুড়ে ছিল বিরাট দীঘি। এ দীঘিকে ভরাট করে চাষের জমিতে পরিণত করার ফলে ছোট একটি পুকুরে পরিণত হয়েছে সেই দীঘিটিময়লা-আবর্জনায় পানি দূষিত হওয়ায় দীঘির পানি মুসল্লীদের অজু-গোসলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বটগাছ ও তালগাছ:
মসজিদের পাশেই প্রায় ১০০ বছর বয়সের একটি বিরাট বটগাছ ছিল, যা বর্তমানে নেই। একটি তালগাছও ছিল যা মসজিদের শোভাবর্ধনে সহায়কের ভূমিকা পালন করত।
জনশ্রুতি:
জনশ্রুতি রয়েছে- এ মসজিদে কিছু মানত করলে তাতে শুভ ফল পাওয়া যায়। তাই দেখা যায় যে, দূরারোগ্য ব্যাধি হতে মুক্তি পেতে, বিপদ-আপদ হতে রক্ষা পেতে এবং আশা পূরণের আশায় বহু নারী-পুরুষ প্রতিদিন এ মসজিদে টাকা পয়সা দান করেন। তবে প্রতি শুক্রবার দূর দূরান্ত হতে বহু মানুষ মানতকৃত শিরনি নিয়ে আসেন ও নামায আদায় করেন।
বিশেষজ্ঞের অভিমত:
বজরা শাহী জামে মসজিদটি এতই মজবুত করে তৈরি করা হয়েছে যে, এখন থেকে ৩০ বছর পূর্বে একজন জাপানী ইঞ্জিনিয়ার পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিয়েছেন যে, আর ২/৩শ বছর পর বলা যাবে এটি কখন ফাটল ধরবে অথবা ধসে পড়বে।৫ তবে মসজিদটির ভেতরের অংশের কারুকার্যের কিছু ধস পড়ছে।
প্রয়োজনীয় পরামর্শ:
১. মুসল্লীদের সুবিধার্থে বজরা শাহী জামে মসজিদটি পুনঃসংস্কার করা প্রয়োজন।
২. জটিল সমস্যা সমাধানে কোন কেতাব বা কুতুবখানা নেই, তাই কুতুবখানা একান- প্রয়োজন।
৩. দূর-দূরান্ত হতে আগত মহিলা-পুরুষদের বিশ্রামাগার অতীব জরুরী।
৪. মসজিদের ইমাম সাহেবের থাকার সুবন্দোবস- খুবই জরুরী।
৫. কবরস্থানে মাটি ভরাট করতে হবে।
৬. ৩০ একর বিশিষ্ট দীঘি এখন মাত্র কয়েক শতাংশ জমিতে একটি পুকুরে পরিণত হয়েছে, যার ফলে মুসল্লীদের অজু ও গোসলের অসুবিধা হয়। দীঘির ভরাটকৃত অংশ পুনঃখনন করে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেয়া দরকার।  
৭. মসজিদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন গণ মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশনা করা প্রয়োজন।  
যবনিকা:
বজরা শাহী জামে মসজিদ রাজা-বাদশার শক্তিদম্ভের প্রতীক নয়, তা সৃষ্টিশীল মানুষের মহৎ শিল্প প্রেরণা ও আধ্যাত্মিক ভাবানুভূতির সার্থক রূপায়ন। অনবদ্য সৌন্দর্যের চমক, ইট আর পাথরের অক্ষরে লিখে যাওয়া অনুপম কাব্যের এক অপূর্ব শিল্প-সুষমা।   এই স্থাপত্য আমাদের এক অমূল্য জাতীয় সম্পদ
তথ্যসূত্র:
এ. কে. এম. গিয়াস উদ্দিন মাহ্‌মুদ
মাওলানা হাসান ছিদ্দিকী

১. দৈনিক সংগ্রাম, ৯ মে, ১৯৯৭।
২. The name of the place owes its origin to Bajra or boat from where a persian pir by the name of Umar Sha preached Islam in the locality. (Drm: Dr. Syed Mohmudal Hasan, Muslim Monuments of Bangladesh, 1971, Page No. 101) অর্থাৎ, পীর ওমর শাহ বা অম্বরশাহের বজরা (বড় নৌকা) প্রথম যেখানে নোঙর করে, সেই থেকে উক্ত স্থা বজরা নামে পরিচিতি লাভ করে। 
৩. দৈনিক জনকন্ঠ ৩১ অক্টোবর, ১৯৯৯ এবং আজকের কাগজ, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০০।
৪. মসজিদের সম্মুখ দেয়ালের গায়ে উল্লেখিত।
৫. দৈনিক সংগ্রাম, ৯ মে, ১৯৯৭।         

No comments:

Post a Comment

About Me

My photo
Mahmudul Huq Foez Free-lance journalist, Researcher.