Scrollwhite
!#bdb76b>
হোমপেইজ | আর্টিকেল | ছোটগল্প | ফিচার | মুক্তিযুদ্ধ | বনৌষধি | সুস্বাস্থ্য | কবিতা | যোগাযোগ !darkslategrey>!#bdb76b>
তেলাকুচা
তেলাকুচা
উদ্ভিদের নাম: তেলাকুচা
স্থানীয় নাম: তেলা তেলাকচু, তেলাহচি, তেলাচোরা কেলাকচু, তেলাকুচা বিম্বী ইত্যাদি।
বোটানিক্যল নামঃ-Coccinia Cordifolia Cogn
ফ্যামিলি নামঃ- Cucurbitaceae
ভেষজ নাম: Coccinia
ব্যবহার্য অংশ: পাতা(ছবি), লতা(ছবি), মূল(ছবি) ও ফল(ছবি)।
রোপনের সময়: তেলাকুচা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে বসত বাড়ির আশে পাশে, রাস্তার পাশে বন-জঙ্গলে জন্মায় এবং বংশ বিস্তার করে। সাধারণত চৈত্র- বৈশাখ মাসে তেলাকুচা রোপন করতে হয়।পুরাতন মূল শুকিয়ে যায় না বলে গ্রীস্মকালে মৌসুমি বৃষ্টি হলে নতুন করে পাতা গজায় এবং কয়েক বছর ধরে পুরানো মূল থেকে গাছ হয়ে থাকে।
উত্তোলণের সময়: শীতকাল ছাড়া সব মৌসুমেই তেলাকুচার ফুল (ছবি)ও ফল(ছবি) হয়ে থাকে। ফল ধরার ৪ মাস পর পাকে এবং পাকলে টুকটুকে (ছবি)লাল হয়।
আবাদী/অনাবাদী/বনজ: এটি বসতবাড়ির আশে পাশে, জঙ্গলে,রাস্তার পাশে জন্মে।
চাষাবাদের ধরণ: শিকড় সহ লতা (ছবি)এনে রোপন করলে অতি সহজেই তেলাকুচা গাছ জন্মে। এর বীজ(ছবি) থেকেও চারা তৈরি করা যায়। দুই থেকে আড়াই ফুট দুরত্বে বাণিজ্যিক চাষাবাদ করা যায়। বেলে বা দোঁআশ মাটিতে ভাল চাষ হয়। বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে বৃষ্টি হলে তেলাকুচার বীজ বপন করতে হয়। বীজ তলার মাটি আগে ঝুরঝুরে(ছবি) করে নিতে হয়। বীজ বপনের ১০-১৫ দিনের মধ্যে চারা (ছবি)গজিয়ে থাকে।
উদ্ভিদের ধরণ:তেলাকুচা একটি লতানো উদ্ভিদ। এটি গাঢ় সবুজ রংয়ের নরম পাতা ও কান্ডবিশিস্ট একটি লতা জাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। লতার কান্ড থেকে আকর্ষীর সাহায্যে অন্য গাছকে জড়িয়ে উপরে উঠে। পাঁচকোনা(ছবি) আকারের পাতা গজায়, পাতা ও লতার রং সবুজ।
ঔষধি গুণাগুণ:-
ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস হলে তেলাকুচার কান্ড(ছবি) সমেত পাতা(ছবি) ছেঁচে (ছবি)রস(ছবি) তৈরি করে আধাকাপ (ছবি)পরিমাণ প্রতিদিন সকাল ও বিকালে খেতে (ছবি)হবে। তেলাকুচার পাতা রান্না (ছবি)করে খেলেও ডায়াবেটিস রোগে উপকার হয়।
জন্ডিস: জন্ডিস হলে তেলাকুচার মূল(ছবি) ছেঁচে (ছবি)রস (ছবি)তৈরি করে প্রতিদিন সকালে আধাকাপ (ছবি)পরিমাণ খেতে (ছবি)হবে।
পা ফোলা রোগে: গাড়িতে ভ্রমণের সময় বা অনেকক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসলে পা ফুলে যায় একে শোথ রোগ বলা হয়। তেলাকুচার মূল (ছবি)ও পাতা(ছবি) ছেঁচে(ছবি) এর রস (ছবি)৩-৪ চা চামচ প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে (ছবি)হবে।
শ্বাসকষ্ট: বুকে সর্দি বা কাশি বসে যাওয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট (হাপানি রোগ নয়) হলে তেলাকুচার মূল(ছবি) ও পাতার রস (ছবি)হালকা গরম(ছবি) করে ৩-৪ চা চামচ পরিমাণ ৩ থেকে সাত দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে (ছবি) হবে।
কাশি: শ্লেস্মাকাশি হলে শ্লেস্মা তরল করতে এবং কাশি উপশমে ৩-৪ চা চামচ তেলাকুচার মূল(ছবি)ও পাতার (ছবি) রস (ছবি) হালকা গরম(ছবি) করে আধা চা-চামচ মধু(ছবি) মিশিয়ে ৩ থেকে ৭ দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে (ছবি) হবে।
শ্লেম্মাজ্বর: শ্লেষ্মাজ্বর হলে ৩-৪ চা চামচ তেলাকুচার মূল(ছবি) ও পাতার রস (ছবি)হালকা গরম (ছবি)করে ২-৩ দিন সকাল- বিকাল খেতে (ছবি)হবে। এ ক্ষেত্রে তেলাকচুর পাতার পাটায় বেটে (ছবি)রস করতে হবে।
স্তনে দুধ স্বল্পতা: সন্তান প্রসবের পর অনেকের স্তনে দুধ আসে না বা শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যায়। এ অবস্থা দেখা দিলে ১টা করে তেলাকুচা ফলের (ছবি)রস (ছবি)হালকা গরম (ছবি)করে মধুর (ছবি)সাথে মিশিয়ে তেলাকচুর পাতা একটু তিতে হওয়ায় পরিমাণমত সকাল-বিকাল ১ সপ্তাহ খেতে হবে।
ফোঁড়া ও ব্রণ: ফোড়া বা ব্রণ হলে তেলাকুচা পাতার(ছবি) রস(ছবি) বা পাতা ছেঁচে (ছবি)ফোঁড়া ও ব্রণে প্রতিদিন সকাল-বিকাল ব্যবহার (ছবি)করতে হবে।
আমাশয়: প্রায়ই আমাশয় হতে থাকলে তেলাকুচার মূল (ছবি)ও পাতার রস (ছবি)৩-৪ চা চামচ ৩ থেকে ৭ দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে (ছবি)হবে।
স্তন্য হীনতায়ঃ মা হলেও স্তনে দুধ নেই। এদিকে শরীর ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে কাঁচা সবুজ তেলাকুচার ফলের রস একটু গরম করে ছেঁকে তা থেকে এক চা চামচ রস নিয়ে ২/৫ ফোঁটা মধু মিশিয়ে সকালে ও বিকালে ২ বার খেলে ৪/৫ দিনের মধ্যে স্তনে দুধ আসবে।
অরুচিতেঃ সদিতে মুখে অরুচি হলে তেলাকুচার পাতা একটু সিদ্ধ করে পানিটা ফেলে দিয়ে ঘি দিয়ে শাকের মত রান্না করেতে হবে। খেতে বসে প্রথমেই সেই শাক খেলে খাওয়াতে রুচি আসবে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment