Scrollwhite
!#bdb76b>
হোমপেইজ | আর্টিকেল | ছোটগল্প | ফিচার | মুক্তিযুদ্ধ | বনৌষধি | সুস্বাস্থ্য | কবিতা | যোগাযোগ !darkslategrey>!#bdb76b>
নিম
নিম
উদ্ভিদের নাম: নিম
স্থানীয় নাম: নিম
ভেষজ নাম: Azadirachta Indica
পরিচিতি: নিম একটি বহু বর্ষজীবি ও চির হরিত বৃক্ষ(ছবি)। আকৃতিতে ৪০-৫০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। প্রাপ্ত বয়স্ক হতে সময় লাগে ১০ বছর। নিম গাছ সাধারণত উষ্ণ আবহাওয়া প্রধান অঞ্চলে ভাল হয়। মাটির পিওএই ৬.২-৮.৫ এবং বৃষ্টিপাত ১৮-৪৬ ইঞ্চি ও ১২০ ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রা নিম গাছের জন্য উপযোগী। নিমের এই গুণাগুণের কথা বিবেচনা করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একুশ শতকের বৃক্ষ বলে ঘোষনা করেছে।
ব্যবহার্য অংশ: পাতা(ছবি), ফল(ছবি), ছাল বা বাকল(ছবি), নিমের তেল(ছবি),বীজ(ছবি)। এক কথায় নিমের সমস্ত অংশ ব্যবহার করা যায়।
রোপনের সময়: জুন মাসের শেষ থেকে বীজ বপন শুরু হয়। বর্ষাকালের শেষ পর্যন্ত বীজ বপন করা যায়। বীজ নার্সারী বেডে(ছবি), পলিব্যাগে (ছবি)অথবা সরাসরি জমিতে(ছবি)লাগানো যেতে পারে।
উত্তোলণের সময়: নার্সারীতে চারা জন্মানোর পর ৭-১০ সেমি উঁচু (ছবি)হলে তা লাগানোর উপযুক্ত হয়। সাধারণত বৃষ্টির সময়ে অথবা সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে চারা উত্তোলন করা ভালো।
আবাদী/অনাবাদী/বনজ: নিম সাধারণতঃ যে কোনো মাটিতে জন্ম নেয়। আবাদী অনাবাদী ও বনজ সব ধরনের হয়ে থাকে।
চাষাবাদের ধরণ: নিম সব ধরনের মাটিতে জন্মে। ঘন কাদা মাটি এবং শুষ্ক ভুষা মাটিতেও জন্মে। তবে কালো দোঁয়াশ মাটি নিম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। উচ্চ মাত্রায় সোডিয়াম কার্বনেট, সোডিয়াম বাই কার্বনেট, ক্ষার ও লবণাক্ততায় নিম ভাল জন্মে। নার্সারী বেড(ছবি), কন্টেইনার(ছবি)নার্সারীর মাধ্যমে নিমের চারা উৎপাদন করা যায়।
উদ্ভিদের ধরণ: নিম একটি বহু বর্ষজীবি ও চিরহরিৎ বৃক্ষ।
ঔষধি গুণাগুণ: বর্তমান বিশ্বে নিমের যে কদর তা কিন্তু এর অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহারের জন্য। নিম ছত্রাকনাশক হিসেবে, ব্যাকটেরিয়া রোধক হিসেবে ভাইরাসরোধক হিসেবে, কীট-পতঙ্গ বিনাশে, ফাংগাস, রোধ নিয়ন্ত্রণে, ম্যালেরিয়া নিরাময়ে, দন্ত চিকিৎসায় ব্যথামুক্তি ও জ্বর কমাতে, জন্ম নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়।
ব্যবহার:
কফজনিত বুকের ব্যথা:- অনেক সময় বুকে কফ জমে বুক ব্যথা করে। এ জন্য ৩০ ফোঁটা নিম পাতা (ছবি)বেটে(ছবি) এর রস সামান্য গরম পানিতে(ছবি) মিশিয়ে(ছবি) দিনে ৩/৪ বার খেলে(ছবি) বুকের ব্যথা কমবে। গর্ভবতী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য এ ওষুধটি নিষেধ। ৩ থেকে ৭ দিন খেলেই ভাল ফল পাওয়া যাবে।
কৃমি: পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। পেট বড় হয়। চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যায়। এ জন্য ৫০ মিলিগ্রাম পরিমাণ নিম গাছের মূলের(ছবি) ছালের (ছবি)গুড়া (ছবি)দিনে ৩ বার সামান্য গরমপানিসহ (ছবি)খেতে(ছবি) হবে। অবশ্যই নিমের ছাল রোদে শুকিয়ে গুড়া করে নিতে হবে।
উকুন নাশ: নিমের পাতা বেটে (ছবি)হালকা করে মাথায় (ছবি)লাগান। ঘণ্টা খানেক রেখে মাথা ধুয়ে(ছবি) ফেলুন। ২/৩ দিন এভাবে লাগালে উকুন মরে যাবে।
অজীর্ণ: অনেকদিন ধরে পাতলা পায়খানা হলে ৩০ ফোঁটা নিম পাতার রস(ছবি), সিকি কাপ পানির(ছবি)সঙ্গে মিশিয়ে ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত সকাল- বিকাল খাওয়ালে উপকার পাওয়া যাবে।
খোস পাঁচড়া: নিম পাতা সিদ্ধ করে পানি দিয়ে গোসল করলে খোসপাঁচড়া চলে যায়। পাতা (ছবি)বা ফুল(ছবি) বেটে(ছবি) গায়ে (ছবি)কয়েকদিন লাগালে(ছবি) চুলকানি ভালো হয়। প্রকার ভেদে এর ববহার করতে হবে। আশা করা যায় সাত দিনের মধ্যে ভাল হয়ে যাবে।
পোকা-মাকড়ের কামড়: পোকা মাকড় কামড় দিলে বা হুল ফোটালে নিমের মূলের ছাল(ছবি) বা পাতা বেটে (ছবি)ক্ষত স্থানে লাগালে(ছবি) ব্যথা উপশম হবে। ৩০ থেকে ১ ঘন্টা ক্ষত স্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হবে।
দাঁতের রোগ: নিমের পাতা (ছবি)ও ছালের গুড়া(ছবি) কিংবা নিমের ছাল(ছবি) দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁত মজবুত হবে, রোগ থেকে রক্ষা পাবে ।
জন্ম নিয়ন্ত্রণে নিম: নিম তেল একটি শক্তিশালী শুক্রানুনাশক হিসেবে কাজ করে। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন যে, নিম তেল (ছবি)মহিলাদের জন্য নতুন ধরনের কার্যকরী গর্ভনিরোধক হতে পারে। এটি ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই শুক্রানু মেরে ফেলতে সক্ষম। নিম তেল তৈরি(ছবি) করতে একটু সময় সাপেক্ষে। এ জন্য বিভিন্ন ওষুধের দোকানে নিম তেল কিনতে (ছবি)পাওয়া যায়। সেখান থেকে ক্রয়(ছবি) করা যেতে পারে।
নিম চাষে আয়: একটি প্রাপ্ত বয়স্ক গাছে ৫০-৬০ কেজি ফল(ছবি) পাওয়া যায় যার বাজার মুল্য প্রায় ৫ হাজার টাকা। এছাড়াও একটি পুর্ণবয়স্ক গাছ এককালিন ১৫-২০ হাজার টাকায় বিক্রয় করা য়ায়। মাত্র দুটি প্রাপ্তবয়স্ক নিম গাছ থেকে বছরে গড়ে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। এছাড়াও এক একরে বাণিজ্যিক নিমচাষে ১৫-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।
সুত্রঃ
সংগ্রহ
মাহমুদুল হক ফয়েজ
মুঠোফোনঃ ০১৭১১২২৩৩৯৯
e-mail:- mhfoez@gmail.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment