Scrollwhite

মাহমুদুল হক ফয়েজ My name is Mahmudul Huq Foez, I am a journalist, leaving in a small town, named Noakhali , which is situated in coastalzila of Bangladesh

হোমপেইজ | আর্টিকেল | ছোটগল্প | ফিচার | মুক্তিযুদ্ধ | বনৌষধি | সুস্বাস্থ্য | কবিতা | যোগাযোগ

পেঁপে



উদ্ভিদের নাম : পেঁপে গাছ
papaya

স্থানীয় নাম : পেঁপে

ভেজষ নাম : Carica papaya Linn

ব্যবহার্য অংশ : আঠা(ছবি), ফল (ছবি)ও পাতা(ছবি)
রোপনের সময় : নার্সারীতে চারা জন্মানোর পর ৭-১০ সেমি (ছবি)উঁচু হলে তা লাগানোর উপযুক্ত হয়। এটি প্রায় সারা বছরই জন্মে।





উত্তোলনের সময় : এটিকে বারোমাসি উদ্ভিদ ও বলা যায়। সারা বছরই পাওয়া যায়।

আবাদী/অনাবাদী/বনজ : এটি বসতবাড়ী এবং বাগানে (ছবি)চাষ করা হয়।


চাষের ধরণ : পেঁপে সব ধরনের মাটিতে জন্মে থাকে । বেলে মাটিতে বেশি ভালো জন্মে। এটি উঁচু স্যাঁতস্যাঁতে(ছবি) জায়গায় ভালো জন্মে। এটি চাষের জন্য প্রথমে বীজ তলায়(ছবি) বীজ রোপন (ছবি)করতে হয়। পরবর্তীতে চারা গজালে বীজ তলা থেকে (ছবি)তুলে অন্যত্র লাগানো (ছবি)হয়। এটি রোপনের ক্ষেত্রে তেমন দুরত্বের(ছবি) প্রয়োজন হয়না ।

উদ্ভিদের ধরণ: পেঁপে বহু বর্ষজীবি নয়। এটি সবুজ কান্ড বিশিষ্ট মধ্যমাকারের সোজা গাছ(ছবি)।

পরিচিতি: এ গাছ মধ্যমাকারের সোজা গাছ। প্রায় ২০-২৫ ফুট উঁচু হয়। শাখা-প্রশাখা হয় না। তবে গাছ পুরানো হলে দু একটি শাখা বের হয়। মূল কান্ডের চারপাশে পাতা বের হয় এবং পাকলে ঝরে যায়। এটি আকারে বেশ বড় হয়। এর কিনারা ৭ ভাগে(ছবি) বিভক্ত। নলের মত বোঁটাটি ফাঁপা(ছবি), এটি ৩ সে.মি. পর্যন্ত লম্বা হয়। পাতার গোড়া ও কান্ডের যোগস্থলে ফুল (ছবি)বের হয়। সব ফুল থেকে আবার ফল হয়না। স্ত্রী জাতীয় ফুল থেকে (ছবি)ফল হয়। এর আকার বেশ বড়। তবে এর গা ঢেউ খেলানো হয়। কাঁচা অবস্থায় এর রং (ছবি)সবুজ পাকলে কিছুটা অংশ (ছবি)হলুদ হয়। এতে দুধের মত আঠা (ছবি)আছে। এই ফলের মধ্যে (ছবি)ফাঁপা এবং অনেকগুলি (ছবি)বিচি থাকে। ফল কচি থাকা অবস্থায় বিচির রং সাদা(ছবি) এবং পাকলে ধুসর বা কালো(ছবি) হয়ে থাকে। প্রায় সারা বছরই ফুল ও ফল দেখা যায়।

ঔষধি গুনাগুন : কাঁচা পেঁপের রস থেকে পেপসিন নামক জারক রস পাওয়া যায়। যা অজীর্ণরোগে বিশেষ ফলদায়াক। পেঁপের আঠা মুত্রনালীর ক্ষতে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। ডিপথেরিয়া, স্পলীহা ও যকৃত বৃদ্ধিতে পেঁপের রসের ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। পেঁপের আঠা বাহ্যিক প্রয়োগও হয়। শুষ্ক দাদ ও একজিমাতে এর আঠা ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া সব্জী হিসাবে রান্না করে খেলে অর্শরোগে হিতকর এবং এটি স্তন বৃদ্ধি কারক হিশাবে প্রসি্দ্ধি আছে। পেঁপের বীজ ক্রিমিনাশক রজঃনিসারক ও তৃষ্ণা নিবারক হিসাবে ব্যবহ্রত হয়। কাঁচা পেঁপের আঠা ও বীজ ক্রিমিনাশ্ক রজঃনিসারক ও প্লীহা-যকৃতের হিতকর। পাকা পেপে কোষ্ঠ পরিষ্কারক, বায়ুনাশ্ক ও মূত্রকারক।

১। রক্ত আমাশয়: প্রত্যেহ সকালে কাঁচা পেঁপের আঠা ৫/৭ ফোঁটা (ছবি)৫/৬ টি বাতাসার (ছবি)সঙ্গে মিশিয়ে (ছবি)খেতে(ছবি) হবে। ২/৩ দিন খাওয়ার পর রক্তপড়া কমতে থাকবে।

২। ক্রিমি: যে কোনো প্রকারের ক্রিমি হলে, পেঁপের আঠা (ছবি)১৫ ফোঁটা ও (ছবি)মধু ১চা চামচ একসঙ্গে মিশিয়ে(ছবি) খেতে(ছবি) হবে। এরপর আধা ঘন্টা পরে (ছবি)উঞ্চ পানি আধ কাপ খেয়ে তারপরে (ছবি)১ চামচ বাখারি বা কলিচুনের পানি খেতে(ছবি) হয়। এভাবে ২ দিন খেলে ক্রিমির উপদ্রব কমে যাবে।

৩। আমাশয়: আমাশয় ও পেটে যন্ত্রনা থাকলে (ছবি)কাঁচা পেঁপের আঠা ৩০ ফোঁটা ও (ছবি)১ চামচ চুনের পানি মিশিয়ে(ছবি) তাতে একটু দুধ(ছবি) দিয়ে খেতে(ছবি) হবে। একবার খেলেই পেটের যন্ত্রনা কমে যাবে এবং আমাশয় কমে যাবে।

৪। যকৃত বৃদ্ধিতে: এই অবস্থা হলে (ছবি)৩০ ফোঁটা পেঁপের আঠাতে (ছবি)এক চামচ চিনি (ছবি)মিশিয়ে (ছবি)এক কাপ পানিতে ভালো করে নেড়ে মিশ্রণটি সারাদিনে ৩বার খেতে (ছবি)হবে। ৪/৫ দিনের পর থেকে যকৃতের বৃদ্ধিটা কমতে থাকবে, তবে ৫/৬ দিন খাওয়ার পর সপ্তাহে ২ দিন খাওয়াই ভালো। এভাবে ১ মাস খেলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।

৫। ক্ষুধা ও হজম শক্তিতে: প্রত্যেকদিন সকালে (ছবি)২/৩ ফোঁটা পেঁপের আঠা (ছবি)পানিতে মিশিয়ে(ছবি) খেতে(ছবি) হবে। এর দ্বারা ক্ষুধাও বেড়ে যাবে এবং হজমও ঠিকভাবে হবে।

৬। পেট ফাঁপায়: কয়েক টুকরো (ছবি)পাকা পেঁপের শাঁষ, আর সামান্য লবন (ছবি)এবং একটু গোলমরিচের গুড়ো (ছবি)একসংগে মিশিয়ে(ছবি) খেতে(ছবি)হবে। এর দ্বারা পেট ফাঁপার উপশম হয।

৭। প্রবল জ্বরে: দেড় চামচ পেঁপে পাতার রস(ছবি) এক কাপ (ছবি)পানিতে মিশিয়ে(ছবি) খেতে(ছবি) হবে। এর দ্বারা জ্বরের বেগ, বমি, মাথার যন্ত্রনা, শরীরে দাহ কমে যাবে। জ্বর কমে গেলে আর খাওয়ার প্রয়োজন নেই।

৮। মাসিক ঋতু বন্ধে: যাদের মাসিক ঋতু বন্ধ হওয়ার সময় হয়নি অথচ বন্ধ হয়ে গিয়েছে অথবা যেটুকু হয় তা না হওয়ারই মত, সেক্ষেত্রে ৫/৬ টি পাকা পেঁপের বিচি(ছবি) গুড়া (ছবি)করে রোজ সকালে ও বিকালে দু’বার পানিসহ(ছবি) খেতে (ছবি)হবে। এর ফলে কয়েকদিনের মধ্যেই মাসিক স্রাব ঠিক হয়ে যাবে, তবে অন্য কোন কারনে এটা বন্ধ হয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

৯। দাদে: সে যে কোনো প্রকারের হোক না কেন, কাঁচা পেঁপের/গাছের আঠা(ছবি) ঐ দাদে লাগিয়ে (ছবি)দিতে হবে, একদিন লাগিয়ে পরের দিন লাগাতে হবে না, এরপরের দিন আবার লাগাতে হবে, এইভাবে ৩/৪ দিন লাগালে দাদ মিলিয়ে যাবে।

১০। একজিমায়: যে একজিমা (ছবি)শুকনা অথবা রস গড়ায় না, সেখানে ১ দিন অথবা ২ দিন অন্তর পেঁপের আঠা (ছবি)লাগালে ওটার চামড়া উঠতে উঠতে পাতলা হয়ে যায়।

১১। উকুন হলে: ১ চামচ পেঁপের আঠা(ছবি), তার সঙ্গে ৭/৮ চামচ পানি(ছবি) মিশিয়ে ফেটিয়ে নিতে হয়। তারপর ওই পানি চুলের গোড়ায় (ছবি)লাগিয়ে (ছবি)কিছুক্ষণ রাখার পর মাথা ধুয়ে (ছবি)ফেলতে হয়। এইভাবে একদিন অন্তর আর একদিন বা ২ দিন লাগালে উকুন মরে যায়।

মাহমুদুল হক ফয়েজ

e-mail: mhfoez@gmail.com

No comments:

Post a Comment

About Me

My photo
Mahmudul Huq Foez Free-lance journalist, Researcher.