Scrollwhite
!#bdb76b>
হোমপেইজ | আর্টিকেল | ছোটগল্প | ফিচার | মুক্তিযুদ্ধ | বনৌষধি | সুস্বাস্থ্য | কবিতা | যোগাযোগ !darkslategrey>!#bdb76b>
আতাফল
আতাফল
উদ্ভিদের নাম: আতাফল
স্হানীয় নাম: আতাফল
ভেষজ নামঃ- Anona squamosa Linn
ফ্যমিলিঃ Anonaceae
ব্যবহার্য অংশ: বীজ ও ছাল
রোপনের সময়: বর্ষাকালে বীজ থেকে গাছ জন্মে।
উত্তোলনের সময়: সাধারনতেঃ মার্চ মাসে ফুল আসে। আপ্রিলে ফল হয়। সে ফল মে-জুন মাসে পাকে। এবং সংগ্রহ করা হয়।
আবাদী/অনাবাদী/বনজ: আবাদি অনাবাদি ও বনজ সব ধরনের হয়ে থাকে।
প্রাপ্তিস্থানঃ- এই ফলটি বহু বছর পুর্বে আমেরিকা থেকে ভারতবর্ষে আসে। এখন পুরো উপমহাদেশে এই ফল দেখা যায়।
গাছের পরিচিতিঃ এটি বহু শাখা বিশিষ্ট মাঝারি ধরনের গাছ। প্রায় ১০/১৫ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। ছাল ধূসর বর্ণের এবং কান্ড খুব শক্ত নয়।পাতা ৩/৪ ইঞ্চি লম্বা এবং ১-১/২ ইঞ্চি চওড়া হয়ে থাকে। এর ফল এবড়ো থেবড়ো গোলাকার, সবুজ বর্ণের, পাকলে সুগন্ধ যুক্ত ও স্বাদে মধুর। ফলের ভিতর শাঁসালো কোয়া আছে। বীজ ঈষৎ ডিম্বাকৃতি ও চ্যাপ্টা কালো রঙের।
ব্যবহার্য অংশঃ- ফল, পাতা, বীজ ও গাছের ছাল
ঔষধি গুণাগুণ:- আতাফলে নানান ঔষধী গুনাগুন রয়েছে। আমাশয়ে, রক্তে বল কমে গেলে, অপুষ্টিজনিত কৃশতায়, রক্তপিত্তজনিত দাহরোগে, ফোঁড়ায়, ক্ষতের পোকায়, মূর্ছা রোগে এবং মাথার উকুন সারাতে আতার ব্যবহার হয়।
আমাশয়েঃ- আতা গাছের মূলের ছালের রস ২০/২৫ ফোঁটা ৭/৮ চা চামচ দুধ সহ খেতে হবে, তবে ছাগলের দুধ হলে ভাল হয়। আথবা আতা গাছের মূলের ছাল চূর্ণ
২০০ মিলিগ্রাম একবার বা দুইবার খেতে হবে।এর দ্বারা ২/৩ মধ্যে আমাশয় ভালো
হয়ে যাবে।
রক্তে বল কমে গেলেঃ- যদি শ্লেষ্মাবিকারের কোনো ব্যধি না থাকলে পাকা আতাফলের
শাঁসের রস ২/৩ চা চামচ করে সকালে ও বিকালে ২ বার খেলে রক্তের নিস্তেজ ভাবটা সেরে যায়। যদি রস করা সম্ভব না হয় তাহলে পাকা আতা এমনি খেলেই চলবে।
অপুষ্টিজনিত কৃশতায়ঃ- শিশু, যুবক যুবতী বৃদ্ধ যে কোনো বয়সেরই হোক এ ক্ষেত্রে পাকা আতাফলের রস ২/৩ চা চামচ করে একটু দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়ালে ধীরে ধীরে পুষ্টি সঞ্চার হয় এবং কৃশতাও দূর হয়।
রক্তপিত্তজনিত দাহরোগেঃ- অল্প রক্তচাপের কারনে মাঝে মাঝে বমির সংগে রক্ত বের হয় আবার বন্ধ হয়ে স্বাভাবিক মনে হয়, আবার কারো কারো আগ্নির বলও থাকেনা। এ ক্ষেত্রে পাকা আতার রস ২/৩ চা চামচ করে খাওয়ালে সেরে যাবে।কারো কারো দেহে সর্বোদা একটা দাহ ভাব আসে এভাবে খেলে সেটাও চলে যাবে।
ফোঁড়ায়ঃ- যে ফোঁড়া দড়কচা যাকে বলে পাকছেওনা বসছেওনা না কাঁচা না পাকা এ ক্ষেত্রে আতার বীজ বা পাতা বেটে সামান্য লবন মিশিয়ে প্রলেপ দিলে ফোঁড়া পেকে ফেটে পুঁজ বের হয়ে যাবে।
ক্ষতের পোকায়ঃ- পিত্তশ্লেষ্মাপ্রধান শরীরে ক্ষত হলে তাড়াতাড়ি শুকাতে চায়না। দীর্ঘদিন থাকলে পোকা জন্মে।সে ক্ষেত্রে কাঁচা আতাফল বীজসমেত শুকিয়ে মিহি গুড়া করে ঐ ক্ষতে ছড়িয়ে দিলে ক্ষতের কীট মরে যাবে এবং ঘাও শুকিয়ে যাবে। তবে এই গুড়ো দেবার আগে কালমেঘের পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে ঐ ক্ষতটা ধুয়ে নিলে আরো তাড়িতাড়ি সেরে যাবে।
মূর্ছা রোগেঃ- আনেক সময় মাসিক ঋতুর দোষে মূর্ছা রোগ হয়। এই রোগাক্রমন হলে সেই সময় আতাপাতার রস ২/১ ফোঁটা নাকে দিলে ২/৩ মিনিটের মধ্যে মূর্ছা ভেঙে যায়। রস দেয়ার সময় ড্রপারে করে দিতে হবে।
উকুনেঃ- মাথায় উকুন হলে নির্বংশ করতে আতাপাতার রস ২ চা চামচ তার সঙ্গে ২/১ চা চামচ পানি মিশিয়ে চূলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখলে উকুন মরে যাবে।একদিনে না গেলে ২/৩ দিন পর আবার লাগাতে হবে। এ ছাড়া পাতা বেটে লাগালেও উকুন মরে যাবে। তবে সাবধানে ব্যবহার করতে হবে যেন চোখে না লাগে, তাহলে চোখ জ্বালা করবে ও লাল হয়ে যাবে।তাছাড়া এই রস লাগানোর পর মাথা ঘুরতে থাকলে না লাগানো উচিৎ।তবে প্রথমে আধা চামচ পানি মিশিয়ে লাগিয়ে দেখা ভালো।
সাবধানতাঃ- কোনো গর্ভবতী নারীর আতার পাতা বা বীজ কোনো কিছুই ব্যবহার করা উচিৎ নয়। এতে গর্ভের ক্ষতি হয়ার সম্ভবনা থাকে।
সূত্রঃ
চিরঞ্জীব বনৌষধী
আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য
৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা-১৫৬
মাহমুদুল হক ফয়েজ
Cell:- 01711223399
e-mail: mhfoez@gmail.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment