Scrollwhite

মাহমুদুল হক ফয়েজ My name is Mahmudul Huq Foez, I am a journalist, leaving in a small town, named Noakhali , which is situated in coastalzila of Bangladesh

হোমপেইজ | আর্টিকেল | ছোটগল্প | ফিচার | মুক্তিযুদ্ধ | বনৌষধি | সুস্বাস্থ্য | কবিতা | যোগাযোগ

আমলকি


আমলকি

উদ্ভিদের নাম: আমলকী
স্হানীয় নাম: আমলকী/অমৃতকলা, শ্রীফল, ধাত্রী
ইংরেজীতে: Phyllanthus emblice.
ভেষজ নামঃ- Embilica officinalis Gaertn.
ফ্যমিলিঃ Eophorbiaceae
ব্যবহার্য অংশ: পাতা, ফুল ও বাকল।
রোপনের সময়: বছরের সবসময় রোপণ করা যায় ।
উত্তোলনের সময়: যখন থেকে ফল ধরতে শুরু করে তখন থেকেই ফল আহরণ করা যায়।
আবাদী/অনাবাদী/বনজ: আমলকী বনজ এবং জঙ্গলের ঔষধী উদ্ভিদ।
প্রাপ্তিস্থানঃ- আরন্যক বৃক্ষ হিসাবে এটি উপমহাদেশে সর্বত্র পাওয়া যায়।তবে একে অনেকেই রোপণ করে থাকেন।


আমলকী গাছের বিবরণ: আমলকী গাছটি অনেক বড় হয়, আবহাওয়ার কারণে অনেক জায়গায় ছোট বড় হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে এটি একটি জঙ্গলের গাছ, গাছের পাতা দেখতে তেঁতুল পাতার মত। আমলকী ফল:- শরৎ কালে আমলকী গাছে ফুল ফুটে এবং শীতের শুরুতে ফল ধরতে আরম্ভ করে, ফলের ধরণ আকারে ছোট বড় হয় শীতের শেষ দিকে ফল পেকে যায়, ফলটি বেশ আঁশযুক্ত এবং খেতে একটু টক ও কসকস মনে হয়। ফলটির ভেতরে একটি বিচি থাকে। এই বিচি থেকেই বীজ আহরণ করা হয়। বীজ আহরণ করতে হলে পাকা ফলকে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর ফল ভেঙ্গে বিচি আহরণ করতে হয় এবং বিচি থেকেই উদ্ভিদ জন্মে।

আমলকীর ঔষধি গুণাগুণ:

চুল ওঠায়: কাঁচা আমলকী বেটে গোসলের ২/৩ ঘণ্টা পূর্বে মাথায় মেখে রোদে বসে শুকিয়ে ধুলে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং অকাল পক্কতা দূর হয়। আমলকী বাটা নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে রাত্রে ঘুম ভাল হয় ও মাথা ঠান্ডা থাকে, চুল ঝরঝরে থাকে এবং চুলের রং কালো হয় ।

চোখ ওঠায়: কাঁচা আমলকীর রস দুই ফোঁটা করে দিনে দুইবার ব্যবহার করলে তিন দিনে চোখওঠা ভাল হয় ।
অম্ল রোগে: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৪/৫ গ্রাম আমলকীর পাতার রসে পরিমান মতো চিনি মিশিয়ে একমাস খেলে(ছবি) চিরতরে অম্ল রোগ ভালো হয়ে যায়।

কোষ্টবদ্ধতায়: রাতে আমলকীর সাথে বহেরা ও হরতকীসহ মোট ৪-৫ গ্রাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরেরদিন সকালে খালি পেটে খেলে কোষ্টবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাছাড়া কফ, পিত্ত, বায়ু এ তিন রোগেরও উপকার হয়।

নাসা রোগ: নাক দিয়ে রক্ত বের হলে শুকনো আমলকি পানিতে ভিজিয়ে বেটে মাথার তালুতে রোজ আধা ঘণ্টা প্রলেপ দিলে নাসা রোগ এর উপকার হয়। এভাবে প্রতিদিন একমাস দিলে ভালো হয়ে যাবে।

মাথা ধরা: আমলকী বেটে তার সাথে সাদা চন্দন ভালভাবে মিশিয়ে পুরো কপালে ঘষলে মাথা ধরায় আরাম পাওয়া যায়।

মহিলাদের শ্বেতস্রাব: আমলকীর বিচি তিন থেকে চার গ্রাম গুড়া করে পরিমাণমতো চিনি মিশিয়ে এক সপ্তাহ খেলে শ্বেতস্রাব থেকে আরোগ্য লাভ করা যায় এবং জরায়ুতে জ্বালাপোড়া থাকে না।
বহু মূত্রে: তিন থেকে চার গ্রাম শুকনো আমলকীর গুড়া এক চামচ মধুর (নিম/আম/জামের) সাথে মিশিয়ে এক সপ্তাহ খেলে বহু মুত্র রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

হিক্কা রোগে: চার পাঁচ গ্রাম আমলকীর গুড়া  একটি পাত্রে ভিজিয়ে রেখে মিছরি মিশ্রিত পানির সাথে মিশিয়ে খেলে হিক্কা রোগ থেকে আরোগ্য পাওয়া যায়।

সূত্রঃ
চিরঞ্জীব বনৌষধী
আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য
১ম খন্ড, পৃষ্ঠা-১২৪


মাহমুদুল হক ফয়েজ
মুঠোফোনঃ ০১৭১১২২৩৩৯৯
e-mail:- mhfoez@gmail.com

No comments:

Post a Comment

About Me

My photo
Mahmudul Huq Foez Free-lance journalist, Researcher.