ভাঙ্গা গড়ার খেলা
ভূলুয়া যার বর্তমান নাম নোয়াখালী
মাহমুদুল হক ফয়েজ
বর্তমান নোয়াখালী শহরের দক্ষিণ প্রান্তে- সোনাপুরে নোয়াখালী রেলষ্টেশনের মাইল খানেক দক্ষিণে ছিল মূল নোয়াখালীর জেলা সদর সুধারাম। এক সময় এ এলাকা সুধারাম ভান্ড হিসেবে পরিচিত ছিল। বিভিন্ন উপন্যাস, কবিতা, গানে এই সুধারামের উল্লেখ আছে। এখানকার জনজীবনকে কেন্দ্র করে শহীদ ঔপন্যাসিক শহীদুল্লাহ কায়সার লিখেছিলেন বিখ্যাত উপন্যাস ‘সারেং বৌ’। কতজনের কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে সমুদ্র গর্ভে হারিয়ে যাওয়া সেই নোয়াখালী শহরকে ঘিরে। বুদ্ধদেব বসুর শৈশব কৈশোর কেটেছে বিস্মৃত সেই অনিন্দ্যসুন্দর শহরে। তার ভাষাতেই বলা যায়......নোয়াখালীর পথে এবং অপথে আমার ভূগোল শিক্ষা।..... আমার কাছে নোয়াখালী মানেই ছেলেবেলা আর ছেলেবেলা মানেই নোয়াখালী।... এমন কোন পথ ছিল না নোয়াখালীর, যাতে হাঁটিনি।....শহর ছাড়িয়ে বনের কিনারে নদীর এবড়ো থেবড়ো পাড়িতে কালো কালো কাদায়, খোঁচা খোঁচা কাঁটায়-চোরাবালির বিপদে। ....কখনো গেছি সুদূর রেলষ্টেশনে, রেল লাইনের নূড়ি কুড়োতে, কখনো জেলখানার পেছনে ভূতুড়ে মাঠে.....। ঘাসে গন্ধ নেশার মত লাগছিল আমার।... সংসারটা জঞ্জাল, সমস্য- গোলমাল অর্থহীন। সবচেয়ে ভাল রাখাল হয়ে মাঠে মাঠে ঘুরে বেড়ানো, গাছের ছায়ায় ঝির ঝিরে হাওয়ায় ঘুমিয়ে পড়া.....।
প্রখ্যাত সাংবাদিক সানাউল্ল্যাহ্ নূরী তার বিভিন্ন গবেষণামূলক লেখায় নোয়াখালী সম্বন্ধে অনেক চমৎকার তথ্য উপস্থাপন করেছেন। তার মতে আধুনিক নোয়াখালী ভূ-খন্ডের প্রাচীন নাম ভুলুয়া। ভুলুয়া ছিল বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী অঞ্চলের প্রাচীনতম ইতিহাসের স্নায়ুকেন্দ্র। খ্রিস্টপূর্ব যুগেও ভুলুয়া বন্দর প্রাচীন পৃথিবীর আনর্জাতিক নৌ-বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। গুপ্ত বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত বিক্রমাদিত্য তথা সমুদ্র গুপ্তের আমলের (৩৭৫-৪১৪ খ্রিষ্টাব্দ) শেষ ভাগে যখন চৈনিক পরিব্রাজক কাহিয়েন এ উপমহাদেশে আসেন, তখনও সামুদ্রিক বন্দর হিসেবে ভুলুয়ার খ্যাতি ছিল। বৌদ্ধযুগ, পাল ও সেনযুগ এবং পরবর্তীকালের বাংলার স্বাধীন সুলতানি আমল, পাঠান তুর্কি আমল, মুঘল আমলসহ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর যুগ পর্যন্ত প্রাচীন সূত্র ও দলিল দস্তাবেজে ভুলুয়ার বহু উল্লেখ দেখা যায়। এ সময়ের মধ্যে সমুদ্র বহুবার উপকূলসংলগ্ন মূল ভূখন্ডের কাছাকাছি এসে প্রাচীন জনপদ সমূহকে গ্রাস করেছে। লক্ষ্মীপুর সুধারাম, বামনী, কোম্পানীগঞ্জ, ফেনী নদীর মধ্যে কমপক্ষে সাত থেকে দশবার গ্রাস করেছে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল নীল তরঙ্গের ফেনীল জলরাশি। আবার প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে সাগর তাকে উগরেও দিয়েছে। নীরবিচ্ছিন্ন এই ভাঙ্গাগড়ার কারণে প্রাচীন এইসব ভূখন্ডের অতীত কোন নির্দশন খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ অঞ্চলে ভৌগলিক পরিবর্তন ঘটেছে অবিশ্বাস্যভাবে। এ অভূতপূর্ব ভাঙ্গাগড়ার ইতিহাস পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। ১৯২২ থেকে ১৯৩২ এবং ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে মোট চার দফা ভাঙ্গনের পর বর্তমানে নোয়াখালীর দক্ষিণ অংশে পূর্বে-পশ্চিমে প্রায় ৬৪ (চৌষট্টি) কিলোমিটার এবং আয়তনের সমুদ্র উপকূলবর্তী বিশাল চর অরন্য। নোয়াখালী সদর সোনাপুর থেকে এর শুরু। পশ্চিমে ওদারহাট রামগতি, পূর্বে ফেনীর বামনী কোম্পানীগঞ্জ। কখনো ধীরে কখনো দ্রুত জেগে উঠেছে চর। মেঘনা নদী আর ফেনী নদী বার বার নানা ভাবে ভাঙ্গাগড়ার খেলা খেলেছে এ অঞ্চলে। শত শত বছর ধরে গড়া নোয়াখালী জেলা শহর সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে মেঘনার গর্ভে । এক সময় সে লোকালয় ছিল কোলাহলমুখর, ছিল কোর্ট- কাছারি-স্কুল-মাদ্রাসা-মসজিদ, ঘোড় জোড়ের মাঠ, বাজার মহল্লা। মেঘনার উত্তাল করাল গ্রাসে একে নদী গর্ভে হারিয়ে গেল। দু’দিন আগে যে ছিল জমিদার যার ছিল অঢেল প্রতিপত্তি আজ সে নিঃস্ব হতম্বি। একদিন যেখানে ছিল জনস্রোত লোকালয় আজ সেখানে সমুদ্রের উত্তাল ফেনিল ঢেউ, নদীর তীব্র লোনা স্রোত।
শুরু হল এক মরণপণ সংগ্রামের লড়াই। রুখতে হবে নদী, বাঁধতে হবে ভাঙ্গন। সে এক অভূতপূর্ব জয় আর অর্জনের কাহিনী। যখন একে একে দেশি-বিদেশি সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে লাগল। ভাঙ্গনের নেশায় নদীল আগ্রাসী হিংস্র দৃষ্টি উত্তরের জনপদের দিকে। ধ্বংসের ছায়া পড়ল মাইজদী আর উপ-মহাদেশের বিখ্যাত ব্যস্ততম ব্যবসাকেন্দ্র চৌমুহনীতে।
যেভাবে প্রমত্তা মেঘনা বসে এল
ত্রিশের দশকে সর্বনাশা মেঘনা হিংস্র থাবা মেরে মেরে ধেয়ে আসছিল উত্তরের লোকালয়ের দিকে। একে একে নদীগর্ভে বিলীন হতে লাগল সুপ্রসিদ্ধ ওসমান আলী দারগারবাড়ী, জজ কোর্ট কালেক্টরেট ভবন। শহর রক্ষার সমস- প্রচেষ্টা ব্যর্থ। বড় বড় দেশি-বিদেশি পরিকল্পনাবিদদের ঘুম নেই। এক সময় হাল ছেড়ে দিল সবাই। ঠিক সেই সময় ১৯২৯ সালে নোয়াখালীতে ফিরে এলেন এলাকার এক কৃতী সন্তান প্রবাদ পুরুষ ওবায়দুল্লাহ্ ইঞ্জিনিয়ার। ভূপাল আর কাবুলের রাষ্ট্রীয় সভায় কর্মরত থেকে এই মেধাবী মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার সেখানে বহু মূল্যবান খনি আবিস্কার করে সে দেশেই এক কিংবদন্তি নায়কে পরিণত হন। কথিত আছে তিনি মাটি দেখেই বলে দিতে পারতেন মাটির তলার লুকানো সসম্পদরাজির কথা, সাগরের ঢেউ দেখে এর আহাজারি আর আগ্রাসী নদীর হুঙ্কারে বিচলিত হলেন তিনি। তার পৈত্রিক চিহ্নটুকুও যে চলে যাচ্ছে গহীন সমুদ্রে। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন বাঁধ দিতে হবে নদীতে। বাঁধের স্থানটিও নির্ধারন করলেন। তিনি নিশ্চিত হলেন পরিকল্পনা সফল হলে শুধু সমগ্র নোয়াখালীই রক্ষা হবে না সমুদ্র থেকে জেগে উঠবে বিশাল ভূখন্ড। স্বপ্ন দেখলেন এক বিশাল সম্ভাবনাময় প্রাচুর্যের সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছুটলেন শিমলায় তৎকালীন ভারতবর্ষের গ্রীস্মকালিন রাজধানীতে। শিমলায় কেন্দ্রীয় সরকারের সেচ মন্ত্রনালয়ে বুঝাতে চেষ্টা করলেন ব্যাপারটা। ব্রিটিশ ভারতের প্রধান প্রকৌশলী স্যার এডওয়েস উইলিয়াম নাক্চ করে দিলেন এ প্রকল্প। স্রোতের তোড়ে যেখানে ভাঙ্গছে শহর ভাঙ্গছে জনপদ নিশ্চিহ্ন হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম সেখানে বাঁধ কি করে টিকবে, কি করে সম্ভব। অনেকটা ভৎসনা করেই ফিরিয়ে দিল তাকে। কিন্তু দমলেন না তিনি। নিজের উপর যার অগাধ বিশ্বাস, আস্থা, তিনি তো আর বসে থাকার লোক নন। ফিরে এলেন দেশে। যা কিছু সহায় সম্বল আছে তা নিয়ে এলাকার হাজার হাজার মানুষের সহযোগীতায় নেমে পড়লেন কাজে। তাঁর উদাও আহ্বানে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে রাজি হল। ধানের বড় বড় ঢোল আর চটের বস্তা মাটিতে ভরাট করে তোলা হল নৌকায়। বুঝে নিলেন অমাবস্যা পূর্ণিমার অবস্থান। পরখ করলেন প্রতিদিনের জোয়ার ভাটার গতি-প্রকৃতি। দেখলেন ঘূর্নায়মান স্রোতের গতি। নিখুঁত জ্যামিতিক অবস্থান আর অঙ্কের হিসাব নিকাশ করে ঠিক সময় নির্দিষ্ট জায়গায় মাটি ফেলতে নির্দেশ দিলেন তিনি। নৌকায় মাটি ভরাট করে স্থানে স্থানে নৌকাসহ ডুবিয়ে দেয়া হল। প্রায় এক মাস রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে পাঁচ হাজার মানুষের অসাধারন শ্রমের ফসল ফলল অবশেষে। ১৯৩০ সালের শেষ জানুয়ারিতে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিল না মানুষ, তৈরী হল চল্লিশ ফুট উঁচু এক বিরাট বাঁধ। প্রমত্তা মেঘনা দুর্বল হতে লাগল। রক্ষা পেল শহর জনপদ। কিন্তু ১৯৩৪ সালে বেগমগঞ্জের কিছু উদ্ধত প্রভাবশালী জোতদারদের নগন্য সংকীর্ণতায় ওবায়দুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারের প্রবল আপত্তি ও বাধার মুখেও সেই বাঁধ কেটে দেওয়া হল। বাঁধ ছিঁড়ে আবার ঢুকলো সমুদ্রের উত্তাল জোয়ার, আছড়ে পড়লো নদীর তীব্র ঢেউ। প্রমত্তা মেঘনা অগ্নিমূর্তিতে আবার ধরা দিল। সমুদ্রগর্ভে বিলীণ হয়ে গেল অবশিষ্ট শহর। নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল সমুদ্রোপকূলবর্তী হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠা নয়নাভিরাম শহরের শেষ চিহ্নটুকু। এরি মধ্যে ১৯৩৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী ৬০ বছর বয়সে তৎকালীণ অবিভক্ত বাংলার একমাত্র মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার প্রতিভাধর এই ব্যক্তিত্ব ওবায়দুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ার তাঁর গ্রামের বাড়ী সন্নাখটিয়ায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর কিছুদিনের মধ্যে তার কবর আর বাড়ীসহ সমগ্র গ্রামটিই মেঘনার গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ সময় শহর স'ান-ারিত হয় মূল শঞর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার উত্তরে বর্তমান মাইজদী কোর্টে। ১৯৪৭ সালে সৃষ্টি হয় নতুন রাষ্ট্রের। নতুন রাষ্ট্র গঠনের দিকেই নতুন সরকারের সমস- দৃষ্টি। সমুদ্রগর্ভে হারিয়ে যাওয়া শহর আর তার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধান- হয়ে যাওয়া লাখ লাখ ছিন্নমূল মানুষের প্রতি কারো নজর রইল না। অনেক পরে তৎকালীন সকরার অনুধাবন করতে পারে ওবায়দুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারের উদ্ভাবিত পরিকল্পনা। ষাটের দশকে তৎকালিন ওয়াপদার চেয়ারম্যান ডি কে পাওয়ার মরহুম ওবায়দুল্লাহর পরিকল্পনার আদলে প্রণয়ন করেন চর জব্বার ক্রস বাঁধ।
মেঘনার বুকে ক্রসড্যাম এবং উপকূলে ভেড়ি বাঁধ নির্মাণ করার ফলে লাখ লাখ একর জমি সমুদ্রগর্ভ থেকে জেগে উঠেছে। গড়ে উঠেছে নতুন নতুন গ্রাম-গঞ্জ এবং হাট-বাজার। দিগন- বিস্তৃত ধান ফসলের মাঠ। স্নিগ্ধ সবুজ বনরাজি। স্থানে স্থানে কৃষকের শৈল্পিক হাতের ছোঁয়ায় তৈরী নির্মল স্বপ্নিল খড়েড় ঘর। মাঠ থেকে মাঠে উড়ে যাওয়া ঝাঁকে ঝাঁকে জানা অজানা পাখির কলরব। গুরু মহিষের বাথান। চরের বুক চিরে কাঁচা পাকা প্রশস্ত রাস্তা দেখে কে বলবে এখানে এক সময় ছিল উত্তাল জলরাশির নীলাভ সমুদ্র আর নদী। ঝড় সামুদ্রিক বান পূর্ণিমা-অমাবস্যার জলোচ্ছাস বা বিশ ত্রিশ ফুট উঁচু শরের তোড়ে নৌকা আর জাহাজ ডুবি হয়ে শত শত মানুষের সলিল সমাধি ঘটেছে এই রাক্ষুসি নদীতে। সমুদ্রের হাঙ্গর একইভাবে রামগতি নদীতে তরুন বিপ্লবী নেতা তোহা জনগণকে নিয়ে দিল আরেকটি বাঁধ। সেটি তোহা বাঁধ বলে খ্যাত। শুরু হল প্রকৃতি আর মানুষের গড়ার পালা। যত দ্রুত ভাঙ্গল শহর তত দ্রুত গড়তে থাকল নতুন চর। দুদিন আগেও যে লোকালয় ছিল শহর। তারপর ভাঙ্গন, নদী-সমুদ্র। বড় বড় নৌকা স্টিমার। আবার সেখানেই গজে উঠল সমুদ্র থেকে পলি মাটি। যেন চোখের সামনেই ঘটে যাচ্ছে সব। মানুষজন নেই। শুধু খাঁ খাঁ করছে সব। বিরান নিস্তদ্ধ। একে একে জেগে উঠল ঘোড় দৌড়ের মাঠ, মসজিদ, বড় রাস্তা, পুলিশ লাইন, গীর্জা, রেল স্টেশন, স্কুল, কোর্ট-কাছারি। না, দালান কোঠা ইমারতসহ নয়। পলিমাটি সমৃদ্ধ নতুন ভূমি। নতুন নাম হল ‘চর’। মানুষজন এককালের জমজমাট শহরকে বলতে লাগল চর সল্লা, চবর এলাহী, সল্লাঘটিয়া। নতুন নতুন নাম হল। ঠক্কর, ইনকাম চৌধুরীর পোল, বাংলা বাজার, গাইজ্জার খেয়া, চর জাহাজমারা, জগদানন্দ, চর বৈশাখী, চর নবগ্রাম, টুমচর আরও কত নাম। শুধু পুরাতন নোয়াখালী শহরই নয়। সমুদ্র থেকে জেগে উঠতে লাগল নতুন নতুন উর্বর ভূমি। ধীরে ধীরে শুরু হল আরেক সংগ্রামের পর্ব। উরি আর নলখগড়া গজানো চরে দেখা যেতে লাগল মহিষ আর ভেড়ার বাথান। উর্বর পলিমাটিতে ধানের আবাদ। জোয়ারে ভেসে আসা সমুদ্রের মাছ। চিরিং, ফুলচিরিং, গাং কই, কোরাল। হাতছানি দেয় এক বিশাল সম্পদের খনি। আস্তে আস্তে আবার মানুষ ফিরে আসে। জনকলরবে আবার সরগরম হতে থাকে বিসৃত সেই জনপদ।
মুক্তকন্ঠ
সোমবার, ১৬মার্চ,১৯৯৮
No comments:
Post a Comment