Scrollwhite

মাহমুদুল হক ফয়েজ My name is Mahmudul Huq Foez, I am a journalist, leaving in a small town, named Noakhali , which is situated in coastalzila of Bangladesh

হোমপেইজ | আর্টিকেল | ছোটগল্প | ফিচার | মুক্তিযুদ্ধ | বনৌষধি | সুস্বাস্থ্য | কবিতা | যোগাযোগ

সুষুনী

সুষুনী
Sushni
উদ্ভদিরে নাম : সুষুনী
স্থানীয় নাম : সুষুনী
ভেষজ নাম : Marsilea minuta Linn
ফ্যামিলিঃ- Marsileaceae
ব্যবহার্য অংশ : উদ্ভিদের সবটাই ব্যবহার করা যায়।
রোপনরে সময় : বর্ষাকাল
উত্তোলনরে সময় : বছররে যে কোনো সময় উত্তোলন করা যায়।
আবাদী/অনাবাদী/বনজ : অনাবাদী বনজ ভূমি প্রসারনী লতা জাতিয় উদ্ভিদ।
চাষের ধরণ : থেকে গাছ উৎপন্ন হয়
উদ্ভিদের ধরণ: ভূমি প্রসারনী লতা জাতিয় উদ্ভিদ।


পরিচিতি


ভূমি প্রসারনী লতা হলেও লতানালের পর্ব থেকে শিকড় মাটিতে প্রবেশ করে বিস্তার লাভ করে, এর শিকড়ের মাঝে মাঝে গ্রন্থি আছে, ক্ষীন পত্রবৃন্তে বিভক্ত ৪টি পত্র একত্র মিলিত। পত্রবৃন্ত নালটি ৭/৮ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে দেখা যায়। শীতকালে এর Spore বা বীজ হয়। সব প্রদেশে অনেকেই আহার্য শাক হিসেবে এর পত্র রান্না করে খেয়ে থাকেন।


শাক পত্র লাতাটির ব্যবহারগত ফলের নিরীক্ষা :-
সুষুনীর মধ্যে ভৈষজ্য এবং আহার্য রস দুইই আছে, এর ভৈষজ্যশক্তির মৌল পরিচয় বীর্যগত, এটি শৈত্যবিধান করে বলেই মল সংগ্রহ করে অর্থাৎ এটি বিদাহকর নয় বলেই, এবং এই জন্যই সুষুনী শাকের ব্যবহার পুরাতন জ্বরের পথ্য এবং মেহ ও কুষ্ঠরোগের পথ্য হিসেবে নির্বিঘ্নে ব্যবহার করা যায়, তাতে ভৈষজ্য ও আহার্য দুই চলে। কারণ ঐ সব রোগে অগ্নিমান্দ্যের জের মেটেনা। সেক্ষেত্রে সুষুণীশাকের রস তার শীতবীর্যতা ও লঘুগুনের জন্য আগ্নিমন্দা সত্ত্বর অপসারণ করে, তা ছাড়া এতে আছে অল্প কষায় রস, তারাই জন্য পাকস্থলীর ক্লেদ দূর করে, এর বিশেষ হেতু এটি কষায় রস বলেই সে রুক্ষ।

রোগ প্রতিকারেঃ-
১। শ্বাস রোগে (হাঁপানীতে)ঃ- কফের প্রাবল্য নেই অথচ শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট, আয়ুর্বেদের চিন্তা ধারায় এটা বায়ুপ্রধান শ্বাস রোগ-এ ক্ষেত্রে সুষুণী শাকের রস ৪/৫ চামচ একটু গরম করে অথবা কাঁচা হলে ৮/১০ গ্রাম, আর শুস্ক হলে ৩/৪ গ্রাম ৩/৪ কাপ জলে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেকে নিয়ে সন্ধ্যাবেলায় খেলে শ্বাসকষ্টের অনেকটা লাঘব হয়, তার সঙ্গে নিদ্রাও ভাল হয়।
২। জ্বালা মেহেঃ- প্রসাবে জ্বালা, তার সঙ্গে কিছু ক্ষরণও হচ্ছে- এ ক্ষেত্রে উপরিউক্ত মাত্রায় ঐ পদ্ধতিতে তৈরী করে তিন চার দিন খাওয়ার পর থেকেই উপকার বুঝতে পারবেন।
৩। অল্প মেধায়ঃ- বাল্যকাল থেকে মেধা কম, সে ক্ষেত্রে এই শাক বেশ কিছুদিন অন্ততঃ ৩/৪ মাস নিয়মিত খাওয়াতে হয়, তবে তার মাত্রা বয়সানুপাতে নিতে হবে। তবে এই শাক শুকিয়ে গুড়ো করে, ছেকে নিয়ে খেলেও চলে, এটার মাত্রা পূর্ণ বয়স্কের ২ গ্রাম নিতে হয়, জলসহ না খেয়ে অন্ততঃ আধকাপ দুধ আর একটু চিনি মিশিয়ে খেলে খুবই ভাল হয়।
৪। বিস্মৃতিতেঃ- বয়সের ধর্মে এটা আসে, তার কারণ মূর্ধা থেকে যে সব বর্ণের উচ্চারণ হয় যেমন র, ড়, ল প্রভৃতি বর্ণ যেসব শব্দের আদিতে থাকে, বয়স বেশী হলে এগুলি মনে পড়তে চায় না সে ক্ষেত্রে সুষুণী শাকের রস দিয়ে ঘি পাক করে প্রত্যহ ২/১ চামচ করে কিছুদিন খেলে ঐ অসুবিধেটা আস্তে আস্তে চলে যায়। এটা বালকদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করানো চলে।

৫। অনিদ্রায়ঃ- কোন কারন বা অবান্ত কারণে মানসিক দুশ্চিন্তা শুয়ে থাকলেও ঘুম আসে না, আবার কারও কারও তন্দ্রা আসার মুখে চমকে উঠে ঘুম ভেঙ্গে যায়, অবান্তর চিন্তায় মন ভারাক্রান্ত শরীর উদ্ধেগগ্রস্থ, সে ক্ষেত্রে কাঁচা হলে ১৫ গ্রাম আর শুষ্ক হলে ৩/৪গ্রাম ৩/৪ কাপ জলে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে, ছেকে ২/৪ চামচ দুধ মিশিয়ে প্রত্যহ সন্ধ্যেবেলা খেলে ঐ অসুবিধেটা চলে যাবে।
৬। ব্লাড্ প্রেসারেঃ- বেশী থাকলে কাঁচা শাক আন্দাজ ১২ গ্রাম বেটে, জলে গুলে, ছেকে নিয়ে একটু মিছরি বা চিনি মিশিয়ে সরবৎ করে খেতে হয়, তবে ডায়াবেটিস থাকলে অথবা অম্লরোগ থাকলে কোন মিষ্টি দেওয়া চলবে না, আর শাক শুকিয়ে গেলে (৩/৪ গ্রাম আন্দাজ) ৩/৪ কাপ জলে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে, ছেকে ওটাকেই সরবৎ করে খেতে হয়, তবে সিদ্ধ করার পূর্বে একটু থেতো করে দেওয়াই ভাল।
৭। রমণ প্রয়াসের শৈথিল্যেঃ- মেদোবহ স্রোত দূষিত হলে এবং তার জন্য অগ্নিমান্দ্য, অরুচি, পিপাসা থাকলে সুষুণী শাকের রস অথবা শাক বেটে সরবৎ করে খেলে ১৫/২০ দিনের মধ্যে কিছুটা ফল উপলব্ধি করা যায়।
৮। দাহ রোগেঃ- শাকের রস অথবা শাক বাটা গায়ে মেখে কিছুক্ষণ বাদে স্নান করলে স্নায়বিক কারণে সর্ব শরীরের দাহ প্রশমিত হয়।
৯। কীট দংশনেঃ- বিষাক্ত কীটের দংশনের জ্বালায় সূষূণীর রস অথবা শাক বাটা ওখানে লাগালে কয়েক মিনিটের মধ্যে ওখানকার জ্বালা কমে যায়।
১০। রক্তপিত্তেঃ- সুষুণীশাক ঘিয়ে ভেজে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
১১। অপস্মারে(Epilepsy):-সুসুণীশাক (শুষ্ক) ৪ গ্রাম এবং জটামাংসী ২ গ্রাম ৪ কাপ জলে সিদ্ধ করে ২ কাপ থাকতে থাকতে নামিয়ে চটকে, ছেকে ঐজল সকালে ও বৈকালে ২ বারে খেতে হবে। এর দ্বারা ঐ রোগ প্রশমিত হয়।









মাহমুদুল হক ফয়েজ
মুঠোফোনঃ ০১৭১১২২৩৩৯৯
e-mail:- mhfoez@gmail.com

No comments:

Post a Comment

About Me

My photo
Mahmudul Huq Foez Free-lance journalist, Researcher.